নয়াদিল্লি: মাত্র ২১ দিনের জন্য হলেও, অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে বেরিয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে শুরু করেছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক করে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি এবং কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকেও। জানিয়েছেন, দেশের জন্য নিজের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত অর্পণ করতে প্রস্তুত তিনি। পাশাপাশি, এত চাপ সত্ত্বেও কেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি, তারও জবাব দিয়েছেন কেজরিওয়াল। (Arvind Kejriwal)
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ গ্রেফতার হন কেজরিওয়াল, তার পর তিহাড় জেলে ঠাঁই হয় তাঁর। সেখান থেকেই দিল্লি সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছিলেন তিনি। ফাইলে সই করাতে তিহাড়ে ছুটে যাচ্ছিলেন সরকারের মন্ত্রী-আধিকারিকরা। জেল থেকে এভাবে সরকার চালানো নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি তুলছিল বিজেপি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগের দাবি করছিল তারা। (Delhi Liquor Policy Case)
কিন্তু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে আসেননি কেজরিওয়াল। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন যেখানে অনুমতি চেয়ে গ্রেফতারির আগে পদত্যাগ করেন, সেখানে এতকিছুর পরও কেন নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন তিনি? শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের জবাব দেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর পদ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে এই জন্যই পদত্যাগ করিনি, কারণ ভুয়ো মামলা এনে ষড়যন্ত্র করে আমাকে সরানোর পরিকল্পনা ছিল।"
দুর্নীতির প্রশ্নেও মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন কেজরিওয়াল। তাঁর বক্তব্য, "প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে চান, তাহলে কেজরিওয়ালের থেকে শেখা উচিত ওঁর। দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে পাঠিয়েছি আমরা, এমনকি নিজেদের মন্ত্রীদেরকেও।" আম আদমি পার্টির চার শীর্ষ নেতাকে জেলে পাঠিয়ে মোদি আসলে দলটিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, বিজেপি ভেবেছিল এবার AAP শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু AAP কোনও রাজনৈতিক দল নয়, AAP একটা ভাবনা। যত আঘাত হানবে, ততই এগিয়ে যাবেন তাঁরা।
গতকাল দিল্লিতে পথসভাও করেন কেজরিওয়াল। তিনি জানান, এই ক'দিনে জেলে দিল্লির মানুষের অভাব বোধ করেছেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, "জেল থেকে বেরিয়ে সটান আপনাদের কাছে চলে এসেছি। দিল্লির মানুষকে খুব মিস করেছি। যাঁরা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, আমাকে আশীর্বাদ করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ।"