একটা সময়ে মুম্বই তথা ধারাভিতে আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই দ্রুতগতিতে বাড়ছিল যে ধারাভির কাছে সাই হাসপাতালের ৫১টি বেডও কোভিডের জন্য আওতায় আনে বৃহন্মুম্বই পুরসভা বা বিএমসি। আইসোলেশনের সুবিধাও তৈরি করা হয় ওই হাসপাতালে। আগামী মাস থেকে এই হাসপাতালের বেডগুলিও ছেড়ে দিতে চলেছে বিএমসি। জি-নর্থ ওয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপ্যাল কমিশনার কিরণ দিঘাভকর বলেন, চিকিৎসা ও আইসোলেশনের জন্যই আমরা পার্কিংয়ের মাঠে সাময়িক হাসপাতাল বানিয়েছিলাম, সাই হাসপাতালে বেড নিয়েছিলাম। কিন্তু বেশ কিছুদিন হয়ে গেল আর প্রয়োজন পড়ছে না। বেড, আইসোলেশন ওয়ার্ড ফাঁকা হয়ে গিয়েছে প্রায়। তাই আপাতত আমরা এসব অস্থায়ী ওয়ার্ড বন্ধ করে দিচ্ছি। যদি বিপদআপদ আবার দেখা দেয়, তখন ফের খোলার কথা ভাবা যাবে। পরিকাঠামো কেমন হওয়া দরকার তা আমরা এই দফাতেই একটা ছবি পেয়ে গিয়েছে। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
১ এপ্রিল প্রথম করোনা কেস ধরা পড়ে ধারাভিতে। এশিয়ার বৃহত্তম এই বস্তিতে ৬১৩ হেক্টর জমিতে ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের বাস। এত মারাত্মক ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে সংক্রমণ নিয়ে মহারাষ্ট্র প্রশাসন প্রথম থেকেই চিন্তিত ছিল, তাই গোড়া থেকেই আলাদা নজর দেওয়া হয়েছিল এখানে। ফল মিলেছে। এমনকী ধারাভিতে ব্রেক দ্য চেন-এর সাফল্যের স্বীকৃতি আগেই দিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।