নয়াদিল্লি: কথায় কথায় ‘পাকিস্তান চলে যাও’ নিদান শোনা যায় যেমন, তেমন ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলার অভিযোগে দায়ের মামলা দায়েরের নিদর্শনও রয়েছে। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলার অভিযোগে গত সপ্তাহে কর্নাটকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। বন্ডের বিনিময়ে বেঙ্গালুরু আদালত অভিযুক্তদের জামিন দিয়েছে যদিও, তবে তাঁরা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছে আদালত। শুনানি চলাকালীন আদালতে নিয়মিত হাজির থাকতেও বলা হয়েছে। (Supreme Court)


সেই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক অবস্থানের উল্লেখ উঠে আসছে। চলতি মাসেই একটি মামলার শুনানিতে নিজের অবস্থান জানায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মহারাষ্ট্রের এক অধ্যাপকের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব নিয়ে সমালোচনামূলক পোস্ট এবং স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানকে শুভেচ্ছাবার্তা জানানোর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল ২০২২ সালে। গত ৭ মার্চ শুনানি চলাকালীন সেই নিয়ে নিজের অবস্থান জানায় আদালত। (Supreme Court on Wishing Pakistan)


বিচারপতি অভয় ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ ওই মামলার শুনানি করছিল। সেবার আদালত জানায়, বাক স্বাধীনতা এবং তা রুখতে কতদূর এগনো যায়, তা নিয়ে আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে শিক্ষিত করে তোলার সময় এসেছে।সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের। পড়শি দেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর অধিকারও রয়েছে। (Karnataka Case)


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi:সংবিধান বদলানোর সাহস বিজেপির নেই, 'ন্যায় সঙ্কল্প যাত্রা'-র শেষ দিনে বার্তা রাহুলের


ওই মামলায় আদালতের বক্তব্য ছিল, “রাষ্ট্রের কাজকর্মের সমালোচনা বা তার বিরোধিতা করাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হলে, ভারতের সংবিধানে উল্লেখিত গণতন্ত্র বেশিদিন টিকবে না। আইনের ঊর্ধ্বে না গিয়ে বিরোধিতা করা নাগরিকের অধিকারের মধ্যে পড়ে, সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদে যার উল্লেখ রয়েছে।” অভিযুক্ত কোনও সীমা লঙ্ঘন করেনি বলেও জানায় আদালত। আদালত আরও জানায়, ধর্মের নিরিখে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলাও অনুচিত।


এই ধরনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা, অভিযুক্তকে হেনস্থা করা আসলে ক্ষমতার অপব্যবহার বলেও মন্তব্য করে আদালত। স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাবো বিয়ে আদালত জানায়, অন্য দেশের বাসিন্দাদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর অধিকার রয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের। পাকিস্তানকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানালে সমাজে অশান্তির সৃষ্টি হবে না বা সাম্প্রদায়িকতা ছড়াবে না কোনও ভাবে। মামলাটির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত।