অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: বিধ্বংসী আগুনে (Malda Fire) পুড়ে ছাই হয়ে গেল তিন-তিনটি ঘর। রবিবার, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মাধাইপুরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। দমকলের ১টি ইঞ্জিন এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে খবর। ঘটনায় যে দুজনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁরা সম্পর্কে ভাই। নাম, লুফান্দার বিশ্বাস ও রুমা বিশ্বাস।
বিশদ...
বরাতজোরে এদিনের অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে দুই ভাইয়ের তিনটি শোয়ার ঘর,মোটরবাইক, খানপাঁচেক সাইকেল।আসবাবপত্র। নিশ্চিহ্ন হয়েছে বেশ কিছু নগদ টাকা, অলঙ্কার এবং বাড়িতে মজুত রাখা শস্য ও জমির দলিলও। এক গবাদি পশুর মৃত্যুর খবরও এসেছে। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তিন লক্ষ টাকারও বেশি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
প্রাথমিক ভাবে দমকল জেনেছে, রুমা বিশ্বাসের ঘরের পাশে, বিচালির গাদা থেকে আচমকা আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে রুমার বাড়িতেই আগুন ধরেছিল। এরপরে চোখের নিমেষে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। একের পর এক ঘরে আগুন লেগে যায়। স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে দমকল বাহিনী। বর্তমানে পরিবার দু'টির ঠাঁইনাড়া হাল। সর্বস্ব হারিয়ে পলিথিন টাঙিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঠাই নিয়েছেন সদস্যরা। ক্ষতিগ্রস্ত রুমা বিশ্বাস বলেন 'পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে আগুনটা কী ভাবে ছড়াল, তা কিছুই বলতে পারছি না।'
মুকুন্দপুরের ছবি...
মাসখানেক আগে কলকাতার মুকুন্দপুরে, ফর্টিল হাসপাতালের কাছে কিছুটা একই ছবি ধরা পড়েছিল। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল সে দিন সকাল থেকে। সঙ্গে পুরু, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভস্মীভূত হয়ে যায় ৫০-টিরও বেশি ঝুপড়ি। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর লড়াই শুরু করে। ঘটনার দিন সকাল থেকেই হাওয়ার দাপট থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি, একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেরজেরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলে যায় একাধিক ঝুপড়ি। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও।এলাকায় একাধিক হোটেল রয়েছে। রয়েছে বসতিও। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড থেকে শুরু করে ঝুপড়িবাসী বহু মানুষের যথাসর্বস্ব পুড়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অ্যাডমিট কার্ড থেকে শুরু করে টাকাপয়সা, সোনাদানা, শেষ সম্বলটুকু খুইয়ে এক লহমায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ঝুপড়িবাসীদের জীবন।
আরও পড়ুন:'ডায়মন্ড হারবারে লড়তে ১০০ শতাংশ প্রস্তুত', দলের অনুমোদনের অপেক্ষায় নৌশাদ