সুজিত মণ্ডল, নদিয়া : বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী ইস্তফাপত্র পাঠালেন রাজ্য বিজেপির দফতরে। গত সোমবার তিনি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও অশোক চক্রবর্তী ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। এরপর আবারও দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইস্তফাপত্র পাঠালেন রাজ্য বিজেপির দফতরে।


অশোক চক্রবর্তী জানান, কেন পদত্যাগ করলাম এক কথায় তার উত্তর দেওয়া মুশকিল। আজ থেকে ২৬ বছর আগে যখন সর্বত্র বিদ্যুৎও পৌঁছায়নি, হ্যারিকেনের আলো, মোমবাতি জ্বালিয়ে কার্যকর্তাদের সাথে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে সাইকেল চালিয়ে গিয়ে মিটিং করেছি। দল আমাকে পর্যাপ্ত সম্মানও দিয়েছে। মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা সভাপতির পদে বসিয়েছেন। বর্তমানে দলের বহর বেড়েছে। একজন সাংসদ, পাঁচ জন বিধায়ক, পঞ্চায়েত স্তরেও একাধিক জনপ্রতিনিধি আছেন। এই মুহূর্তে সাংগঠনিক ক্ষমতার ও আগ্রাসী মনোভাবের নেতা প্রয়োজন। সে জন্যই দায়িত্ব ছাড়লাম। দল সারা রাজ্যে ক্ষমতায় না এলেও দক্ষিণে একশো শতাংশ সফল।


অন্যদিকে ইস্তফাপত্র দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। নদিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কো-অর্ডিনেটর দীপক বসু বলেন, সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ফাইফরমাশ ঠিকমতো পালন করছিলেন না অশোক চক্রবর্তী। তাই তিনি তাঁর সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অন্ত নেই। ওদের কোন ভরসা নেই। মানুষ বুঝে গিয়েছে।


তবে অশোক চক্রবর্তীর ইস্তফা দেওয়া নিয়ে নদিয়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি স্বপন দাম বলেন, অশোক চক্রবর্তী ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্য অফিসে। রাজ্য অফিস থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও রকম সূচনা দেয়নি। এখন রাজ্য অফিস অশোক চক্রবর্তীর অব্যাহতি চেয়ে ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবে, কি করবে না তা রাজ্য নেতৃত্বের ওপরই নির্ভর করবে। তবে পদ থেকে চলে গেলে দলের তো কিছুটা হলেও ক্ষতি হবে। রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে নির্দেশ দেবে আমরা সেভাবেই চলব।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূল ভবনে এসে দলে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। সুখেন্দু শেখর রায় , মুকুল রায়, ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। একইসঙ্গে আরও কয়েকজন বিজেপির পদাধিকারী নেতা তৃণমূলে যোগ দেন।