নয়াদিল্লি: সন্দেশখালি নিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। জাতীয় রাজনীতিতেও তার আঁচ পৌঁছেছে। সেই আবহেই এবার সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। হিমন্তের দাবি, সন্দেশখালিতেই মমতার পতন লেখা, তার সূচনা ঘটে গেল। (Himanta Bisawa Sarma)


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালি নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রাজনীতি। সন্দেশখালিকে নৈরাজ্যের চরমতম নিদর্শন বলে একদিকে তুলে ধরছে BJP. অন্য দিকে, তৃণমূলের দাবি, স্থানীয় অশান্তিকে বড় করে দেখাচ্ছে তারা, আগুনে ঘি ঢালছে, বদনাম করা হচ্ছে বাংলা এবং বাঙালিকে। (Sandeshkhali Situation)


সেই আবহেই সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন হিমন্ত। তাঁর বক্তব্য, "বাংলার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। বাস্তব তুলে ধরতে গেলে সাংবাদিকদের জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। সন্দেশখালিতে যা চলছে, তা অকল্পনীয়।  মহিলাদের প্রতি নির্মম আচরণ করা হয়। রাজ্য সরকার সব জানত। সিন্ডিকেট চক্র চলছিল। এতদিনে গোটা দেশের সামনে বিষয়টি উন্মোচিত হল। আমার বিশ্বাস, আইন আইনের পথে চলবে।"


আরও পড়ুন: Suvendu At Sandeshkhali : শাঁখ, উলুতে সন্দেশখালিতে পা, 'কাঁদনি মা কাঁদনি' বৃদ্ধাকে বুকে টানলেন শুভেন্দু


সন্দেশখালিকে সামনে রেখে মমতাকেও তীব্র কটাক্ষ করেন হিমন্ত। তাঁর বক্তব্য, "তৃণমূল যত চেষ্টাই করুক না কেন, মানুষ চুপ করে থাকবেন না। যে সরকার এমন নৃশংসতা চালায়, বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না তারা। সন্দেশখালিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের পতন লেখা রয়েছে।"


যত দিন যাচ্ছে, সন্দেশখালি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক মহল। তার মধ্য়েই রাজ্য পুলিশকে নোটিস ধরিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। দু'সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সন্দেশখালির সঙ্গে মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসাত্মক ঘটনা তুলনাও টানছেন অনেকে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মণিপুরের সঙ্গে তুলনা চলে না সন্দেশখালির।


সন্দেশখালি নিয়ে এর আগে বিজেপি-র জাতীয় অধিবেশনে বিশেষ প্রস্তাব আনেন অমিত শাহ। সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ৭ মার্চ বারাসাতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। যদিও ষড়যন্ত্র করে সন্দেশখালিকে অশান্ত করে তোলা হয়েছে বলে দাবি মমতার। তাঁর দাবি, প্রথমে ED-কে ঢোকানো হয়। তিলকে তাল করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে সন্দেশখালিকে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে নির্বাচনের আগে।