নয়াদিল্লি: গঙ্গা সহ তার তীরবর্তী অঞ্চলে রাজ্যগুলিকে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। ভবিষ্যতে যাতে মৃতদেহ সব নিয়ম মেনেই সৎকার করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। জেলার গঙ্গা কমিটির  প্রধান তথা জেলা শাসককে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার পক্ষে থেকে কড়া নজরাদির চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে বলা হচ্ছে করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন মৃতদেহ যাবতীয় বিধি মেনে সৎকার করা হোক।


যমুনায় ভাসছে একের পর এক অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ। গঙ্গায় মৃতদেহের স্তূপ। শিউরে ওঠা, হাড় হিম করা, লজ্জায় মুখ ঢাকার এই ছবি বিহার ও উত্তরপ্রদেশের। ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার চেয়ারপার্সন ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব রঞ্জন মিশ্র চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, গঙ্গা যে অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, সেই অঞ্চলের জেলা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে কড়া নজরদারি চালাতে হবে। ভবিষ্য়তে যেন গঙ্গায় মৃতদেহ না ফেলা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে গঙ্গা সহ নিকটবর্তী অঞ্চলের সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।


পাশাপাশি ১৪ দিনের মধ্যে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গাকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, মৃতদেহের স্তূপ, অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ থেকে শুধু নদীতে দূষণই হয় তা নয়, এটা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং একইসঙ্গে গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চের মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হবে। যমুনায় অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ এবং গঙ্গায় মৃতদেহের স্তূপের ছবি সামনে আসার পরই রাজ্যগুলিকে এই চিঠি দিল কেন্দ্র।


বিহার সরকার জানিয়েছে, বক্সার জেলায় সব মিলিয়ে ৭১টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই মৃতদেহগুলি ভেসে এসেছিল। আশঙ্কা প্রত্যেকের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সঞ্জয় রাউত বলেন, এই মৃতদেহগুলি উত্তরপ্রদেশের দিক থেকে ভেসে এসেছে। বিহার সরকার জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তও করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, প্রত্যকের মৃত্যু হয়েছে ৪ থেকে ৫ দিন আগে। উল্লেখ্য, গত সোমবার হামিরপুর জেলায় গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রথম যমুনার তীরে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এরপরই করোনা আক্রান্তদের দেহ ভাসছে বলে আতঙ্ক তৈরি হয়। পরে তা উদ্ধার করে সৎকারের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার।