হাওড়া : করোনা কালে গত কয়েকদিন ধরেই উঠছে ওষুধের কালোবাজারির অভিযোগ উঠছে। এবার সামনে এল ভ্যাকসিনের জন্য লাইন বিক্রির অভিযোগ। হাওড়ার পাঁচলা কুলাই গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। ভ্যাকসিন নিতে অনেকে ওই হাসপাতালে লাইন দেন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকজন যুবক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিনের লাইন বিক্রি করেন। এই নিয়ে বচসা শুরু হলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে সমস্যা মেটাতে বিডিওর সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ। যার পরই সিদ্ধান্ত হয় আধার কার্ড নিয়ে ভ্যাকসিনের লাইন দিতে হবে।


এমনিতেই রাজ্যের সব জায়গাতেই ভ্যাকসিনের ভোগান্তি চলছে। প্রায় সর্বত্রই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েই ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। যে পরিস্থিতিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগের তির তোলা হয়েছে কেন্দ্রের দিকে। সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বন্টনের কোনও রূপরেখা না থাকা ও করোনাকালে প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য ভ্যাকসিন দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। দেশের একাধিক রাজ্যই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ শানিয়েছে।


রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা সঙ্কট ও ভ্যাকসিন আকালের মাঝে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন বন্টনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বরাদ্দ অল্প সংখ্যক ভ্যাকসিনের মধ্যে প্রথমে গুরুত্ব দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সদের তারপর ও যার শেষে সবার জন্য টিকাকরণের প্রক্রিয়া চালু হবে। এর মাঝেই রোজই বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে হাসপাতাল, করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে, জানা নেই কারোর।


এদিকে, অক্সিজেন সরবরাহের নাম করে দিল্লিতে প্রতারণার অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের গোয়েন্দারা।  ধৃতদের মধ্যে একজন পিন্টু পাল নামে এক মোবাইল দোকানের মালিক।  গতকাল রাতে তাঁকে বনগাঁর গোপালনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, ওয়েবসাইট খুলে দিল্লির কয়েকজন বাসিন্দাকে অক্সিজেন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্ত।  সেই বাবদ টাকাও নেওয়া হয়।  কিন্তু  অক্সিজেন সিলিন্ডার আর সরবরাহ করা হয়নি।  অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ।  মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের সূত্র ধরে অভিযুক্তর হদিশ পায় তারা।  আজ ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।   ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।