নয়াদিল্লি: গো সংরক্ষণে এবার বিল আনতে চলেছে অসম সরকার। গতকাল, শনিবার এই কথা জানালেন অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখী। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার আগামী বিধানসভা অধিবেশনে গো সংরক্ষণ বিল পেশ করতে পারে।


কেন এই বিল? এদিন অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখী জানিয়েছেন, রাজ্যের বাইরে গরু পাচার রুখতে  রাজ্য সরকার আগামী বিধানসভা অধিবেশনে গো সংরক্ষণ বিল পেশ করতে পারে। রাজ্যপাল অসমের ১৫ তম বিধানসভায় প্রথমবার বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ গরুকে পবিত্র মনে করে এবং তার পুজো করে। শুধু তাই নয়, তাঁর কথায়, গরু জীবনদায়ী দুধ দেয়।


শনিবার রাজ্যপাল বলেন, আমি খুব আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে রাজ্য সরকার আগামী বিধানসভা অধিবেশনে গো সংরক্ষণের জন্য বিল আনতে চলেছে। যার মূল উদ্দেশ্য রাজ্যের বাইরে কোনও গরু পাঠানো যাবে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, গরুদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় আর গরুর প্রতি হিংসাত্মক ঘটনা বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার। কোনও ব্যক্তি যদি রাজ্যের বাইরে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। যেসব রাজ্য ইতিমধ্যেই এই আইন এনেছে, সেই তালিকায় যোগ হবে অসমের নামও।


এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে কর্নাটক বিধানসভায় পাশ করা হয় গো-রক্ষা ও গো-নিধন সংক্রান্ত বিশেষ বিল।গো-সংরক্ষণের ব্যাপারে আর এক বিজেপি-শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ আগেই আইনি পদক্ষেপ করেছে। যোগী আদিত্যনাথের  রাজ্যে গো-হত্যা রুখতে ২০২০ সালের শুরুতেই অর্ডিন্যান্স আনা হয়। তাতে ঠিক হয়, গো-হত্যা করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। জানানো হয়, গো হত্যা করলে হতে পারে ৫-১০ বছরের জেল। একইসঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানার কথাও বলা হয়। তার আগেই গো-সম্পদ রক্ষার জন্য ‘কাউ সাফারি’ বা গো-পর্যটন প্রকল্পও চালু করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকারের পথে হেঁটেই কার্যত একইভাবে রাজ্যে গো-সম্পদ রক্ষায় গো-মন্ত্রক গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রদেশও।