কলকাতা: কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝারা হয়ে গিয়েছেন ২৬ জন। আর সেই জঙ্গিদের কার্যকলাপকে সমর্থনে মন্তব্য করে পুলিশের জালে বিধায়ক। অসম থেকে গ্রেফতার করা হল AIUDF বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে। আগামীকাল তাকে পেশ করা হবে আদালতে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানা। প্রতিশোধের আগুন ফুঁসছে গোটা দেশ। এরইমধ্যে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার অসমের বিধায়ক। অসম পুলিশ জানিয়েছে, AIUDF বিধায়ক আমিনুল ইসলামের মন্তব্যের জেরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসমের পুলিশ অফিসার স্বপ্নীল দেকা বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে শোনা যায়, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে ভুল মন্তব্য করছেন তিনি। জঙ্গিদের কার্যকলাপকে সমর্থন করেন তিনি। এই ভিডিও-র প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করেছি এবং তাঁকে গ্রেফতার করেছি। আগামীকাল তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।''
মাস তিনেক বাদেই জুলাইয়ের ৩ তারিখ অমরনাথ যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। তার আগেই অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণভাবে পর্যটকদের নিশানা করল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাটিতে পড়ে থাকা পর্যটকের দেহের এই ছবি শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে দেবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ পহেলগাঁও হিল স্টেশন থেকে প্রায় ৫ কিমি দূরে বৈসরন উপত্যকায়, হামলা চালায় জঙ্গিরা। যে ঘটনায় ৩ জন বাঙালি সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথ তদন্ত চালাচ্ছে NIA. সূত্রের খবর, জঙ্গিদের সঙ্গে স্থানীয়দের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে NIA. গত কয়েকদিনের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জোগাড় করতে চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে আহতদের বয়ান রেকর্ড করার চেষ্টা চলছে। জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় খুন, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
এই হামলার ঘটনায় আটকের সংখ্যা ২ হাজার। জঙ্গিদের খোঁজ দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরে হাই অ্যালার্ট জারিরয়েছে। চলছে চিরুনি তল্লাশি। ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। ভূস্বর্গ থেকে দলে দলে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। ২৬ জনকে যেখানে গুলি করে মারা হয়েছে, সেই ছবির মতো সুন্দর বৈসরন উপত্যকা শুনশান। পহেলগাঁওজুড়ে শুধু ভারী বুটের শব্দ। টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। রাস্তায় CRPF-এর চেকিং পয়েন্টে চলছে নজরদারি। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চলছে, পরীক্ষা করা হচ্ছে নথি। দোকানপাট বন্ধ। ভরা মরশুমে পর্যটনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছিলেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। জঙ্গি হামলার পর এবার রুজি-রোজগারে টান পড়ার আশঙ্কা।