গুয়াহাটি : জাপানি এনসেফেলাইটিসে গত সপ্তাহে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে অসমে। এনিয়ে চলতি বছরে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬। সরকারি সূত্র এমনই জানিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে। সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় হচ্ছে যে, রাজ্যের ৩৫টির মধ্যে ৩৩টি জেলাতেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র ডিমা হাসাও ও হাইলাকান্দিতে এর কোনও প্রকোপ দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত জেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। 

Continues below advertisement

"জাপানি এনসেফালাইটিস অসমে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছর, আমাদের কাছে জেই এবং ভাইরাস, বাহক এবং পোষকের কেস পাওয়া যায়। রোগের প্রতিটি উপাদান অসমে উপস্থিত। ভারতে জাপানি এনসেফালাইটিসের প্রায় ৫০ শতাংশ কেস অসমের।" রাজ্যের Mission Director of the National Health Mission লক্ষ্মণন সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। এ বছরেই অসমে ৩০০ জেই ভাইরাস সংক্রমিতের খোঁজ পাওয়া গেছে। 

এপ্রিল মাস থেকে অসমে এই রোগের ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (GMCH) অধ্যক্ষ ডাঃ অচ্যুত বৈশ্যর মতে, এই রোগটি সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করছে, তবে ১০ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। 

Continues below advertisement

প্রসঙ্গত, জাপানি এনসেফেলাইটিস একটি ভাইরাল, মশাবাহিত রোগ যা শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। অচ্যুত বৈশ্য আরও জোর দিয়ে বলেন যে, অসমে জেই স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। জোরহাট, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, লক্ষ্মীপুর এবং বিশ্বনাথের মতো জেলাগুলি এখনও জেই হটস্পট। তবে, এখন কামরূপ, নলবাড়ি এবং গোয়ালপাড়ার মতো নিম্ন অসম জেলাগুলি থেকেও কেস উঠে আসছে, যা আরও বিস্তারলাভের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

রাজ্যে মশাবাহিত রোগ 

গত মাসের শেষ দিকে রাজ্যে ডেঙ্গির বলি হয় এক ছাত্রী। দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত মৃত্যু হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর। মৃত ওই ছাত্রী দমদম পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল। গত ১৯ জুন জ্বর নিয়ে ভর্তি হয় তপসিয়ার হাসপাতালে। মৃতার ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়।

মৃত নাবালিকা দমদম পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল। সেখানে ব্যাপক মশার উৎপাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন নাবালিকার প্রতিবেশী থেকে বিরোধী দল সকলেই। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান। দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর।