ওই হাসপাতালের যে হস্টেলে ওই ডাক্তার ছাত্র থাকছিলেন, সেটি ও আরও একটি ছাত্রাবাসকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে সেখানকার সব আবাসিককে ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে।
গুয়াহাটিতে তিন ও শিলচরে আরও চারজন পজিটিভ হওয়ায় অসমে করোনাভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৩।
গতকালই বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, গতকাল বাইরের রাজ্য থেকে আসা একটি বাসের যাত্রী, শোনিতপুরের ঢেকিয়াজুলির এক কুখ্যাত গাড়ি চোর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। বাসের বাকি সব যাত্রী, চালককে কোয়ারেন্টিন করা হয়। শিলচরের ১১টি জায়গাকে কনটেনমেন্ট জোনও ঘোষণা করা হয়। ৪২জন যাত্রীকে নিয়ে কোনও সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনে বাসটি শিলচরে পৌঁছয়। একজন যাত্রীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় সাবধানতা অবলম্বনের জন্য। সে পজিটিভ ধরা পড়ে। তার নামে অনেকগুলি পুলিশি মামলা আছে। বাকি যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়।
এই ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়মবিধি শিথিল করার পর বাইরে থেকে ফেরা লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিন করার ক্ষেত্রে কৌশল বদল করে রাজ্য সরকার। আগে শুধুমাত্র যাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা যেত, তাদেরই শুধু কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে পাঠানো বা টেস্ট করানো হত। বিশ্বশর্মা বলেন, এখন দেশের অন্য জায়গার রেড জোন থেকে ফেরা সবাইকেই অন্তত তিনদিন (শরীরে লক্ষণ দেখা না গেলেও) বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টন সেন্টারে থাকতে হবে, লালারসের নমুনা পরীক্ষার ফল না আসা অবধি।