ওয়াশিংটন: আক্রান্ত ৬২ লক্ষেরও বেশি মানুষ, মৃত্যু ২ লক্ষ ছুঁইছুঁই। প্রথম থেকেই আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। গোটা বিশ্বের মতো প্রতিটি মার্কিন নাগরিকও জানতে চাইছেন, কবে আসবে ভ্যাকসিন।


এই প্রেক্ষাপটে বড় ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানালেন খুব শীঘ্রই তাঁর দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমি এটা ঘোষণা করতে পেরে খুশি যে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তৃতীয় পর্যায়ের পৌঁছেছে এবং যে সমস্ত ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শেষ পর্যায়ে, সেই তালিকাতেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই ভ্যাকসিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমরা এমন কিছু কাজ করে দেখাচ্ছি, যা মানুষের ধারনার বাইরে ছিল। ট্রাম্প আরও দাবি করেন, যে প্রক্রিয়াটি (ভ্যাকসিন ট্রায়াল) কয়েক বছর সময় নিতে পারে, সেখানে তাঁর সরকার কয়েক মাসের মধ্যে সেরে ফেলেছে।


অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে "চাদোক্স ১-এস" ভ্যাকসিন। ভারতেও এর ট্রায়াল শুরুর অনুমতি পেয়েছে পুণের ভ্যাকসিন প্রস্তুকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সেই ভ্যাকসিন নিয়েই এবার আশার কথা শোনালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফেও জানানো হয়েছে, আমেরিকাজুড়ে ট্রায়াল সেন্টারগুলিতে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের বয়স ১৮ বছর ও তার বেশি। বিভিন্ন জাতি, উপজাতি ও দেশের নানা প্রান্তের মানুষদের এই ট্রায়ালে নিয়োগ করা হবে।


গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে দু’মাসেরও কম সময়ে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে রাশিয়া! এইভাবে হটকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়া আর যে দুটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তৃতীয় পর্যায়ের পৌঁছেছে সেগুলি হল মোডার্না ও ফাইজারের।


এদিকে আগামী নভেম্বরেই আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর ভোটের দিকে তাকিয়ে আবার তড়িঘড়ি করে করোনা ভ্যাকসিন আনতে চাইছেন ট্রাম্প, সেই সম্ভাবনাও উঠছে জোরালভাবে।