নাম শ্রীপতি নয়াবন, বাড়ি ডায়মন্ডহারবার। দু’চোখে ছানি, প্রায় কিছুই দেখতে পান না। হাইপারটেনশনের সমস্যা আছে। বয়সের ভারে গলার স্বর ক্ষীণ হয়ে এসেছে শ্রীপতির। কিন্তু এই বয়সেও তিনি হারিয়ে দিয়েছেন ঘাতক করোনাভাইরাসকে। তাও উন্নত কোনও চিকিৎসায় নয়, সাধারণ ওষুধেই মাত্র ৭ দিনে সেরে উঠেছেন তিনি। ২৪ তারিখ জানা যায়, শ্রীপতিবাবু করোনা পজিটিভ। অল্প বয়সে সেনায় ছিলেন, এই বয়সেও সাহসের ঘাটতি হয়নি। ছেলে কনককান্তি জানিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন, বাবা করোনা সারিয়ে উঠবেনই, কারণ এটা তাঁর কাছে বড় কিছু না, স্রেফ আরও একটা জীবন যুদ্ধ।
শ্রীপতিবাবুর ১০ ছেলেমেয়ে। তাঁর ৭২ ও ৫৩ বছরের দুই ছেলে করোনা পজিটিভ, তাঁদেরও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। পঞ্চম পুত্র অ্যাসিম্পটোম্যাটিক, ৪ দিন চিকিৎসার পর রাজ্য সরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। বাড়ির সকলের সব থেকে বেশি উদ্বেগ ছিল শ্রীপতির জন্য, তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল, করোনার লক্ষণও ছিল শরীরে। ৪ দিন হোম আইসোলেশনে রাখার পর তাঁকে নার্সিং হোমে ভর্তি করান বাড়ির লোক। তিনি পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। চিকিৎসকদের ধারণা, ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হওয়ায় সুস্থ হয়ে উঠতে সমস্যা হয়নি তাঁর। বহু সময় করোনা আক্রান্ত লক্ষণ দেখেও অবহেলা করেন, শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে নিয়ে এলে বাঁচানো মুশকিল হয়ে যায়। স্রেফ এই কারণে ষাটোর্ধ্ব অনেককে করোনা যুদ্ধে হারিয়েছি আমরা।
শুধু শ্রীপতি নন, হাওড়ার এক সরকারি করোনা হাসপাতাল থেকেও গতকাল মুক্তি পেয়েছেন ৯৫ বছর বয়সী এক রোগী।