নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ মোকাবিলার অন্যতম প্রধান ওষুধ বলে ধরা হচ্ছে যে রেমডিসিভিরকে, তার স্টকের প্রায় ষোলো আনাই আগামী তিনমাসের জন্য নিজেদের ঘরে তোলার ব্যবস্থা পাকা করে ফেলল আমেরিকা। এই ওষুধের প্রস্তুতকারক সংস্থা জিলেড সায়েন্সেস-এর জুলাই মাসে তৈরি হতে যাওয়া সমগ্র রেমডিসিভির ওষুধের স্টকটাই নিজেদের জন্য অর্ডার দিয়েছে আমেরিকা। এখানেই শেষ নয়। ওই একই সংস্থার থেকে তৈরি হওয়া একই ওষুধের ৯০ শতাংশ তারা কিনে নেবে অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরেও। আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলেছে এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় সওয়া এক লক্ষ। এই পরিস্থিতিতে যেনতেন প্রকারে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকা এই বেপরোয়া পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকার হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচ এইচ এস) ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে পাঁচ লক্ষ ট্রিটমেন্ট কোর্স নিজেদের পকেটে
পুরে ফেলেছে। এইচ এইচ এস-এর মুখ্য সচিব আলেক্স আজহার জানিয়েছেন, আমেরিকার কোভিড আক্রান্ত মানুষ যাতে কোনও ভাবেই প্রাণদায়ী ওষুধ রেমডিসিভির থেকে বঞ্চিত না হন সে জন্যই এমন দুর্দান্ত একটি পদক্ষেপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ড্রাগের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য প্রতি রোগীর খরচ পড়বে আড়াই হাজার ডলারের মতো। নিজেদের তৈরি ওষুধ রেমডিসিভির যে আগামী তিন মাসের জন্য আমেরিকার ঘরে সরবরাহ করা হবে সেকথা স্বীকার করে নিয়ে জিলেড সায়েন্সেস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই গ্রুপের ওষুধের উৎপাদন কতটা বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে বিশ্বের অন্য কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে কতখানি কম দামে সংশ্লিষ্ট ওষুধ উন্নয়নশীল দেশগুলির হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে।