নয়াদিল্লি : প্রয়াগরাজে (Prayagraj) মেডিক্যাল চেকআপে নিয়ে যাওয়ার পথে খুন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ (Gangstar Atiq Ahmed) ও তার ভাই আশরফ আহমেদ। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রের খবর। ঝাঁসিতে গত বৃহস্পতিবারই গুলি করে খুন করা হয় আতিকের ছেলে আসাদ আহমেদকে। তার একদিন পরেই গুলিতে খুন আতিক। 


পুলিশের দাবি, প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল করাতে আনার সময় আতিক আহমেদের উপর হামলা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই আতিককে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় আতিক ও তাঁর ভাই আশরফের।


বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে অভিযুক্ত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ। রাজু খুনের সাক্ষী উমেশ পাল (Umesh Pal) খুনেও নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ছেলে আসাদের। উমেশ খুনে অভিযুক্ত আসাদের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা।


ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গুলি-


আতিকের আইনজীবী বিজয় মিশ্র (Vijay Mishra) একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, জনতার মধ্যে থেকে কেউ একজন এসে আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাইকে গুলি করে। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। তাঁদের যখন গুলি করে খুন করা হয়, সেই সময় পাশেই ছিলেন তিনি। ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। 


ঘটনার ভিজুয়ালে দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাঁটছেন আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই। সেই সময় কেউ একজন গ্যাংস্টারের মাথায় গুলি করে। পরের মুহূর্তেই তাঁর ভাইকেও গুলি করে খুন করা হয়। 


আতিক আহমেদ সমাজবাদী পার্টির একজন সাংসদ ছিলেন। অপহরণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। অন্ততপক্ষে ১০০টি অপরাধমূলক মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে। বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পাল খুন (Raju Pal Murder) হন ২০০৫ সালে। সেই খুনে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি রাজুর আইনজীবী উমেশ পালকেও গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি।


মঙ্গলবারই আহমদাবাদের জেল থেকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসা হয় আতিককে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁকে এনকাউন্টারে খতম করা হতে পারে। তাই তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেছিলেন। প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির ৫ বারের বিধায়ক ছিলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ । ফুলপুর কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) সাংসদও হন আতিক।