বলেন, কংগ্রেসের রাস্তায়ই হাঁটছে কেন্দ্রের বিজেপি-জোট সরকার। বিজেপি কংগ্রেসের মতোই জনস্বার্থ, জাতীয় স্বার্থের ইস্যুগুলি ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়েছে। রাজনৈতিক লাভের জন্যই ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বিজেপি। সরকারের ভুল নীতির জেরে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, যা জাতীয় স্তরে উদ্বেগের ব্যাপার। গরিবি, বেকারি, নৈরাজ্য, হিংসা কংগ্রেস আমলকে ছাপিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির জন্য দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গত সোমবার ২০টি বিরোধী দল বিতর্কিত সিএএ প্রত্যাহার, দেশব্যাপী ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার দাবিতে প্রস্তাব গ্রহণ করে। এনপিআরকে ভবিষ্যতে প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) তৈরির কাজে ভিত্তি হিসাবে কাজে লাগানো হবে বলে তাদের অভিযোগ। তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সিএএ, এনপিআর ও এনআরসি সামগ্রিকভাবে এমন একটা উদ্যোগ যা অসাংবিধানিক। এতে বিশেষত গরিব, প্রান্তিক মানুষজন, তফসিলি জাতি-উপজাতি, ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হয়েছে। প্রস্তাবে যে মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের রাজ্যে এনআরসি কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের সবাই এনপিআর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার কথা ভাবুন, এও বলা হয়েছে।
মায়াবতীর বক্তব্য, ভোটের ফল বেরনোর পর রাজস্থানে বসপা বিধায়কদের নিজেদের দলে টেনে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’য় ইন্ধন দিচ্ছে কংগ্রেস। সনিয়ার ডাকা বৈঠকে দল যোগ দিলে দলীয় কর্মীদের ‘মনোবল ধাক্কা খেত’ বলেও সওয়াল করেন তিনি। একইসঙ্গে বসপা সিএএ-র বিরোধী বলে জানিয়ে সরকারের কাছে তা প্রত্যাহারের দাবিও করেন মায়াবতী। এও বলেন, বসপা কর্মীরা শৃঙ্খলাপরায়ণ, ক্যাডারভিত্তিক দল, প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদই জানায়।
বিরোধীদের বৈঠকে ছিল না আপ, শিবসেনাও। তারা বৈঠকের আমন্ত্রণ পায়নি বলে দাবি করেছে।