নয়া দিল্লি: দিল্লিতে শ্রদ্ধা-খুনে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার (Aftab Poonawalla) উপর হামলার অভিযোগ উঠল। সোমবার পলিগ্রাফ টেস্ট (Polygraph Test) করে ফেরার সময় আফতাবের উপর হামলা হয় বলে খবর। সেই সময়ই আচমকা শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shradhha Walkar) খুনে অভিযুক্তের উপর এক ব্যক্তি আক্রমণ চালায়।
এদিন সন্ধ্যেয় রোহিনীতে পুলিশ হেফাজতে থাকা আফতাবের উপর হামলা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকা আফতাবের উপর তরোয়াল নিয়ে হামলা হয় বলে খবর। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতিও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের শূন্যে গুলি।
দিল্লির এই খুন নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, 'মুম্বইয়ে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় দুই জনের। তিন বছর ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এবং দিল্লিতে এসে থাকতে শুরু করেন। দিল্লিতে চলে আসার পরই শ্রদ্ধা ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন।' পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে 'দুইজনের মধ্যে প্রায়ই বিয়ে নিয়ে সমস্যা হত এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেত। ১৮ মে-র এই নির্দিষ্ট ঘটনায় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে যুবক। অভিযুক্ত জানিয়েছে যে সে প্রেমিকার দেহ টুকরো করে এবং আশেপাশে ছত্রপুর এনক্লেভের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলে দিয়ে আসে।
আরও পড়ুন, 'খুন করে রাতেই রক্ত ধুয়ে সাফ, পরদিন টুকরো করা হয়েছিল দেহ', দিল্লিতে ফের খুন, হাড়হিম তথ্য
শুধু তাই নয়, প্রথমে খুন করে তারপর সেই দেহ ৩৫ টুকরো করা হয়। তারপরও পরিচয় যাতে বোঝা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের মুখ আগুনে পুড়িয়েছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ফ্রিজ কিনে এনে প্রেমিকার খণ্ড-বিখণ্ড দেহ তাতে ঢুকিয়ে রেখে তারপর রোজ রাতে চলত সেগুলো জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার কাজ। দিল্লি খুন-কাণ্ডে যত তথ্য সামনে উঠে আসছে, ততই যেন ঘটনার নৃশংসা দেখে শিউরে উঠছে দেশ।