নয়াদিল্লি: করোনা জয় করতে যদি স্বাভাবিকভাবে শরীরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করার চেষ্টা হয় তবে তা ভয়াবহ হতে পারে। এক লাফে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র করোনা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ফন কারখোভে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

মারিয়া বলেছেন, এই মুহূর্তে তাঁদের চেষ্টা করোনার একটি নিরাপদ ও কর্মক্ষম টিকা আনা যাতে আগামী সংক্রমণ রোখা যায়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে হার্ড ইমিউনিটি পাওয়ার চেষ্টা হলে বহু মানুষ মারা যাবেন। এ জন্য অন্তত দুই তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার মধ্যে এই ইমিউনিটি তৈরি হতে হবে, অন্তত ৬৫ থেকে সত্তর শতাংশ মানুষের ইমিউনিটি তৈরি হওয়া জরুরি। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব জোড়া শহর গ্রামের যাবতীয় মানুষ, সমস্ত বয়সের জনসংখ্যার মধ্যে টিকাই তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও কার্যকর।

করোনা লড়াইয়ে লকডাউনের বদলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির পথে হাঁটার চেষ্টা করেছে দুটি দেশ, উভয়েই ব্যর্থ হয়েছে। সুইডেন অফিস কাছারি, দোকানপাট সমস্ত কিছু খোলা রেখেছিল, সরকার মানুষজনকে বাড়ি থাকার, ভিড়ভাট্টা না করার নির্দেশ দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু খোলা রেখেছিল, স্কুল, রেস্তোঁরা, পার্ক ইত্যাদি। কিন্তু এর ফলেও স্টকহোমের মাত্র ৭.৩ শতাংশ বাসিন্দার মধ্যে কোভিড বিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয় বলে জানিয়েছে সুইডিশ সরকার। এছাড়া হার্ড ইমিউনিটির পথে হাঁটার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড, মৃত্যু মিছিলে সেই চেষ্টায় ইতি টানতে বাধ্য হয়েছে তারা।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, করোনার মধ্যে মানুষ যত পরস্পর মেলামেশা করবে, তত বাড়বে সংক্রমণের আশঙ্কা। আর তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়াবে অন্যদের মধ্যে। করোনার হাত থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব পালন, মাস্ক পরা আর হাত নিয়মিত ধোয়াই এখনও পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ উপায়।