সিডনি: সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে যে জঙ্গি হানা ঘটেছে, তা সে দেশের কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলাগুলির একটি। অস্ট্রেলিয়ায় জঙ্গি হানায় ২ বন্দুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১৬ হয়েছে। 

Continues below advertisement

সিডনির বন্ডি বিচে একটি অনুষ্ঠানের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পাক নাগরিক নাভিদ আক্রমের হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিচ্ছেন আহমেদ আল আহমেদ। জঙ্গি হানায় তিনিও আহত হয়েছেন। কাঁধে দুটি গুলি লাগে। জামা রক্তে ভাসছে, সেই অবস্থায় তিনি কোনওমতে ধরে ফেলেন বন্দুকবাজকে। যার জেরে বেশ কিছু জীবন বাঁচাতে পারেন তিনি।

১৫ সেকেন্ডের একটি ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পার্ক করা গাড়ির আড়ালে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিটি পিছন থেকে বন্দুকধারীর দিকে ছুটে যায়। (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ)। সে তার ঘাড় ধরে, তার রাইফেলটি টেনে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তারপর তার দিকে অস্ত্র তাক করে। ইনিই আহমেদ আল আহমেদ। পেশায় ফল বিক্রেতা। যেভাবে নিজের প্রাণ বাজি রেখে তিনি এ কাজ করেন, তাঁকেই 'হিরো' মানছেন অস্ট্রেলিয়ানরা। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও তাকে "নায়ক" হিসেবে বর্ণনা করেন। 

Continues below advertisement

এখনও পর্যন্ত খবর অনুযায়ী, ২ আততায়ীর মধ্যে এক জন পাকিস্তানের নাগরিক নাভিদ আক্রম। পাক নাগরিক নাভিদ আক্রম ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন'। সিডনির আল মুরাদ ইনস্টিটিউটেও পড়াশোনা করেছে নাভিদ। 

পুলিশ জানিয়েছে যে বন্ডি সমুদ্র সৈকতে হনুক্কা অনুষ্ঠানের সময় ইহুদি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে চালানো এই গুলিতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। একজন শিশুসহ ২৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী হলেন বাবা ও ছেলে। নিহতদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি নাগরিকও রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, হামলার পর জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি ডাকা হয়েছে। তিনি এও বলেন, "সমুদ্রের ধারে হনুক্কা উদযাপনের সময় বন্ডিতে একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। হনুক্কার প্রথম দিনে ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানদের উপর এই আঘাত আমাদের জাতির হৃদয়কে আঘাত করেছে। ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানদের উপর আক্রমণ প্রতিটি অস্ট্রেলিয়ান এবং প্রতিটি অস্ট্রেলিয়ানের উপর আক্রমণ। আমাদের দেশে এই ঘৃণা, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের কোনও স্থান নেই। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমরা এটি নির্মূল করব।"