অযোধ্যা: উদ্বোধনের বাকি ৪ দিন। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আর সেই উপলক্ষ্যে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে অর্ধদিবস ছুটি (Half Day) ঘোষণা করল কেন্দ্র। আজই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তাতে জানানো হয়েছে, 'মানুষের ভাবাবেগের কথা ভেবে এবং তাঁদের অনুরোধের কারণে, আগামী ২২ জানুয়ারী রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা এবং রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারী অফিস, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে  ২ দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত অর্ধদিবস খোলা থাকবে।' শুধু কেন্দ্রয় সরকারই নয়, বেশ কিছু রাজ্যও ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে হাফ বেলার ছুটি ঘোষণা করেছে। 


তালিকায় কোন কোন রাজ্য



  • উত্তরপ্রদেশ

  • গোয়া

  • মধ্যপ্রদেশ

  • ছত্তিশগঢ়

  • হরিয়ানা


ছুটি ঘোষণার আবেদন: তবে পশ্চিমবঙ্গে ওই দিন কোনও ছুটি ঘোষণা হয়নি। অন্যান্য দিনের মতোই চলবে অফিস। অন্যদিকে, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াও ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়ে, ২২ জানুয়ারি দিনটিকে ছুটি ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র রাম মন্দির উদ্বোধনের তাৎপর্য, ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এর গভীর প্রভাব উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য,আজ রাম মন্দিরের নামে ডাক টিকিট প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪৮ পাতার স্ট্যাম্প টিকিটের বইয়ে আছে ২০টি দেশের ডাক টিকিট। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: শীতের সকালে বিশেষ উপলব্ধি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগ উজাড় করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


রাম মন্দির নিয়ে রাজনীতি: উদ্বোধন ঘিরে সাজো সাজো রব অযোধ্যায়। এদিকে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের অপেক্ষার যখন প্রহর গুণছে দেশ, দেশজুড়ে তুমুল উন্মাদনা, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেতে আসতে শুরু করেছেন মানুষজন। তখন কার্যত, রাম মন্দিরের হাত ধরেই আসন্ন চব্বিশের লোকসভা ভোটের বৈতড়নী পার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এর আগে রাম নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। গত রবিবার মোদির ডাকে, রায়গঞ্জের রাম-সীতা মন্দিরে সাফাই অভিযানে অংশ নেন বিজেপি সাংসদ। সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য় করেন তিনি। রাম 'রাজনীতি', রাজনীতির রাম? কিন্তু, রাম কি কখনও রাজনীতির অংশ হতে পারে? রাম কি কখনও ভোটের হাতিয়ার হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, না। রাম সবার। রাম মানে আস্থা। রাম মানে ভরসা, রাম মানে গর্ব।  


শুরু আচার-বিধি পালন: এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়েছে নানারকম আচার-বিধি পালন। আজ রামচন্দ্রের বাল্যকালের মূর্তি নিয়ে অযোধ্যায় শোভাযাত্রা হবে। মঙ্গল কলসে সরযূ নদীর জল নিয়ে রাম মন্দিরে আসেন ভক্তরা। হায়দরাবাদ থেকে আনা হয়েছে বিশালাকার লাড্ডু। রাম মন্দিরের একেবারে ধ্বজার নীচে রয়েছে গর্ভগৃহ। সেখানেই অধিষ্ঠিত হবেন রামলালা। মন্দিরে ঢোকার পথ বা সিঁড়ির নাম দেওয়া হয়েছে সিংহদ্বার। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠলেই সোজা দেখা যাবে গর্ভগৃহ। দেখা মিলবে রামলালার। আপাতত চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গুজরাত থেকে আনা হয়েছে ১০৮ ফুট দীর্ঘ ধূপ। মন্দির উদ্বোধনের দিন এই ধূপ জ্বালানো হবে। আগরা থেকে অযোধ্যায় আনা হয়েছে ৫৬ রকমের পেড়া।