ইসলামাবাদ: ওসামা বিন লাদেন খতম হওয়ার পর আল কায়েদার নেতৃত্ব যাঁর হাতে ছিল, সেই আয়মান আল জওয়াহিরি মারা গিয়েছেন বলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের একাধিক সূত্রের দাবি। সোস্যাল মিডিয়াও মিশরের নাগরিক জওয়াহিরির মৃত্যুর খবরে সরগরম। সেই জল্পনাকেই সিলমোহর দিয়ে সেই সূত্রগুলি জানাচ্ছে, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নভেম্বরেই কোনও এক সময় তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁর শেষকৃত্য হয়েছে সাদামাঠা ভাবে। সামান্য কয়েকজন অনুগামীর সামনে। জওয়াহিরিকে শেষবার দেখা গিয়েছিল চলতি বছর আমেরিকায় ৯/১১-র আল কায়েদা হামলার বর্ষপূর্তিতে বেরনো একটি ভিডিও বার্তায়।
জওয়াহিরির মৃত্যু সংবাদ সঠিক প্রমাণিত হলে পরিষ্কার, তা কুখ্যাত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটির ভবিষ্য়তের হাল কে ধরবে, সে ব্যাপারে এক গভীর শূন্যতা প্রকট করে দিল। যারা জওয়াহিরির পর সর্বোচ্চ নেতৃত্বে আসতে পারে বলে জল্পনা ছিল, তারা দুজনেই সম্প্রতি নিহত হয়েছে। একজন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন। আরেকজন আবু মহম্মদ আল-মাসরি।
লাদেন পাকিস্তানের আবোতাবাদে ২০১১-র মার্কিন সিল বাহিনীর নিঃশব্দ অপারেশনে নিহত হয়েছিলেন। হামজা নিহত হয়েছে বলে গত বছর ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। আল-মাসরিকে সংগঠনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলে ধরা হত। চলতি বছরে ইরানে সে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরব নিউজ পাকিস্তান, আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের খবর, আল কায়েদার হয়ে কাজ করা এক অনুবাদক বলেছেন, গত সপ্তাহে গজনীতে মারা গিয়েছেন জওয়াহিরি। তাঁর দাবি, অ্যাজমায় ভুগে মারা গিয়েছেন তিনি। তেমন কোনও চিকিত্সা হয়নি তাঁর। আফগানিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত সীমান্ত ঘেঁষা এলাকার এক পাক নিরাপত্তা অফিসার বলেছেন, উনি আর বেঁচে নেই বলেই আমাদের ধারণা। আমরা নিশ্চিত, তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে।
আল কায়েদার একটি সূত্রেরও খবর, আমরা যতদূর জানি, শ্বাসকষ্টে ভুগে আফগানিস্তানে মারা গিয়েছেন তিনি।