রাম ও সীতার বিবাহের প্রতীক তিথি, বিবাহ পঞ্চমীর বিশেষ মুহূর্তে রাম জন্মভূমি মন্দিরের শিখরে উড়ল গেরুয়া ধ্বজা। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে সঙ্গে নিয়ে বহু প্রতীক্ষীত ধ্বজ উত্তোলন অনুষ্ঠিত হল। অযোধ্যা রাম মন্দিরের ১৯১ ফুট উঁচু শিখরে উড়ল গৈরিক পতাকা। সরাসরি ও গণমাধ্যমে সাক্ষী থাকলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পঞ্চপ্রদীপে রামলালার আরতি করেছিলেন। শঙ্খ-ঘণ্টাধ্বনিতে মুখরিত হয়েছিল অযোধ্যা। এবার ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে, মঙ্গলবার রাম মন্দিরে ধ্বজা উত্তোলন করবেন তিনি। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদি অযোধ্যায় একটি রোড শো করেন । তারপর প্রার্থনা সারেন সপ্তমন্দির এবং শেষাবতার মন্দিরে। এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমন্ত্রিত ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ অতিথি। এই আচার অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন কাশীর পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রীর নির্দেশনায় অযোধ্যা, কাশী এবং দক্ষিণ ভারতের ১০৮ জন আচার্য । ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি গর্ভগৃহে রাম লালার অভিষেকানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তারপরও বেশ কিছু কাজ বাকি ছিল। এই ধ্বজা উত্তোলনের মাধ্যমে শেষ হল অভিষেকানুষ্ঠানের। ধ্বজা উত্তোলনের পর কাল সরযূ নদীর তিরে বিশেষ আরতির আয়োজন করা হয়েছে।
কী এই পতাকার বৈশিষ্ট্য?
সূত্রের দাবি, ধ্বজটি লাগানোর জন্য, ১৬১ ফুটের মূল মন্দিরের উপর একটি ৪২ ফুটের ধ্বজ দণ্ড লাগানো হয়েছে। পতাকাটি ২২ ফুট লম্বা এবং ১১ ফুট চওড়া। পতাকায় রয়েছে কাঞ্চন ফুল গাছ, ওঙ্কার চিহ্ন এবং সূর্যের ছবি। ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে চারপাশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ফুলের অধিকাংশই গেছে কলকাতা থেকে।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যাও। তাই প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা। যান নিয়ন্ত্রণ, মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেট, আকাশ পথে নজরদারি, সবই এবারে কিছুটা বেশি। কিছুদিন আগে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। তাই এবার আরও বেশি সতর্ক প্রশাসন।