অযোধ্যা: মন্দিরের রাজকীয় জৌলুষ, সেই সঙ্গে রাম লালার রাজ-বেশ, এর ওপর বালক রামের জন্য চোখ ধাঁধানো সব উপহার সামগ্রী, দেশবাসীর এখন একটাই ডেস্টিনেশন, অযোধ্যার রাম মন্দির। এরই মধ্যে বিশাল অনুদানে ভরেছে রাম মন্দিরের কোষাগার। এত অর্থ জমা পড়ছে যে তা গুনে শেষ করার উপায় নেই, ফলে এবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাহায্য চাইল রাম মন্দির ট্রাস্ট। 


জানা গিয়েছে, এক মাসের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি অর্থ অনুদান এসেছে মন্দিরে। টাকার হিসেব ঠিক রাখতে এসবিআই-কে জানান হয়েছিল। সেই মতো মন্দিরে অত্যাধুনিক এবং উন্নত মানের স্বয়ংক্রিয় গণনা মেশিন বসাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। একটি নয়, চার-চারটি এই টাকা গোনার মেশিন বসানো হয়েছে। 


তবে শুধু অর্থ নয়, এক মাসে রামলালার মন্দিরে ২৫ কিলো সোনা, রুপো, চেক, ড্রাফটও জমা পড়েছে প্রচুর। ২৩ জানুয়ারি, অর্থাৎ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০ লক্ষ ভক্তরা এসেছেন রাম লালা দর্শনে। আসন্ন রামনবমীতে প্রায় ৫০ লক্ষ ভক্ত আসতে পারেন বলে অনুমান। 


SBI রিসার্চের সাম্প্রতিক গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির এবং অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে যোগী সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকার কর সংগ্রহ করতে পারে। রাম মন্দিরের জন্য শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি বিশেষ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সেখানে শুরু হয় অর্থ সাহায্য।


এর আগেই SBI রিসার্চের ওই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছিল, অযোধ্যায় রাম মন্দির ও অন্য পর্যটন প্রকল্পের কারণে উত্তর প্রদেশের রাজস্ব ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি হতে পারে। ইতিমধ্যেই রাম মন্দিরে রসিদ দেওয়ার জন্য ট্রাস্ট ১২টি কম্পিউটারাইজড কাউন্টার তৈরি করেছে। মন্দির চত্বরে অতিরিক্ত দানবাক্সও রাখা হয়েছে। রাম মন্দির চত্বরে একটি বড় এবং সুসজ্জিত গণনা কক্ষ তৈরি করা হবে বলেও জানান হয়েছে। 


অবশ্য রামলালার জন্য রুপো ও সোনার তৈরি এমন কিছু জিনিসপত্র দান করেছেন, যা হয়তো শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে ব্যবহার করা যাবে না। তবে যেহেতু এগুলো বিশ্বাস ও ভক্তির তাই মন্দির সোনা-রুপোর তৈরি এই জিনিসগুলি গ্রহণ করছে এবং ব্যাঙ্কে জমা করছে। সোনা, রুপো ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট।


আর পড়ুন, কোথাও ক্যাশ মেশিন, কোথাও এনি টাইম মানি, বিশ্বজুড়ে এটিএম-এর নানা ডাকনাম !