কলকাতা: নাম এটিএম। কার্ড প্রবেশ করিয়ে পিন দিলে টাকা বেরিয়ে আসে। কিন্তু এই যন্ত্রটারই নাকি হরেকরকম নাম রয়েছে। একেক দেশে একেক নামে ডাকা হয় এটিএম-কে। এটিএম-এর আসল কমবেশি সবাই জানেন। অটোমেটেড টেলার মেশিনকেই সংক্ষেপে এটিএম বলা হয়ে থাকে। কিন্তু একটা নামেই ডাকতে হবে, এমন মাথার দিব্যিও তো কেউ দেয়নি। তাই নিজের পছন্দমতো যে যেমন পারেন, তাতেই ডাকেন। এই ভাবেই বিভিন্ন দেশে বিভিন্নরকম নামে ডাকা হয় এটিএমকে।


এটিএম-এর ডাকনাম অনেক (ATM names in different countries)


ছোট্ট বাচ্চাকে যেমন পরিবারের একেকজন সদস্য একেকটি নামে ডাকেন। তেমনই অবস্থা এটিএম-এর। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রতি ভালবাসা বেশি! আর তাই নানারকম নাম। যেমন ধরা যাক, ব্রিটেনের কথা। সেই দেশেও তিন চাররকম নামে ডাকা হয় এটিএম-কে। কেউ বলেন ক্যাশপয়েন্ট, কেউ আবার ক্যাশ মেশিন, কোথাও আবার হোল ইন দ্য ওয়াল। এমন নামকরণের কারণ রয়েছে। ওই দেশে বেশ কিছু এটিএম এমন দেওয়ালের গায়ে বসানো। এটিএম-এর পুরো নাম অটোমেটেড টেলার মেশিন (Automated Teller Machine) মূলত বলা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু এর প্রতিবেশী দেশ কানাডায় আবার এর নাম আলাদা। একে বলা হয় অটোমেটিক ব্যাঙ্কিং মেশিন - এবিএম! 


তবে এছাড়াও, এটিএম সম্পর্কে আরও নানা মজার তথ্য জানা যায় (ATM Facts)। যেগুলোও কম আশ্চর্যের নয়। যেমন ধরা যাক, এই কার্ডের পিনের কথা। পিন শব্দটির পুরো অর্থ পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার। প্রথম যখন এই পিন তৈরি করা হয়, তখন এটিএম আবিষ্কর্তা জন শেফার্ড ব্যারন ছিলেন এর পুরোধা। তিনি ছয় ডিজিটের এটিএম পিন রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর রাখা হয়নি। কারণ তাঁর স্ত্রী ছয়টি ডিজিট মনে রাখতে পারতেন না। তাই চার ডিজিটের পিন (ATM less known facts) রাখা হয় শেষ পর্যন্ত! 


আবার আরেকটি আশ্চর্যের ব্যাপার হল এটিএম থেকে সোনা তোলা। এটিএম থেকে টাকা তো তোলা যায়। কিন্তু এর পাশাপাশি সোনা তোলার সুবিধাও রয়েছে। আর তা রয়েছে আবু ধাবিতে। সেখানে এটিএম-এ কার্ড ঢুকিয়ে পিন দিলেই সোনার পাত বেরিয়ে আসবে। মোট ৩০০-এরও বেশি ধরনের সোনা রয়েছে সেই এটিএম বাক্সে ! আবু ধাবির এমিরেটস প্যালেস হোটেলে গেলেই দেখা পাওয়া যাবে সেটির।


আরও পড়ুন - General Knowledge Story: শামুকের কি দাঁত আছে ? কটা ? জানলে চমকে উঠতে পারেন যে কেউ