নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার ‘বিতর্কিত’ জায়গাকে কেন্দ্র করে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সূত্রপাত, যা বহু শতক ধরে ভারতে জটিল এবং বিতর্কিত বিষয় হিসেবে রয়ে গিয়েছে (Ram Mandir Inauguration)। কোন পথে এগোয় ঘটনাবলী, দেখে নিন তার টাইমলাইন। (Ayodhya Ram Mandir)


১৫২৮: মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর ‘বিতর্কিত’ ওই জায়গা মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। ওই জায়গা আসলে ভগবান রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করেন হিন্দুরা।


১৮৫৩: ‘বিতর্কিত’ ওই জায়গায় প্রথম বার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধে।


১৮৫৫-১৮৫৯: ‘বিতর্কিত’ ওই জায়গার নিয়ন্ত্রণ ঘিরে আইনি লড়াইয়ের সূচনা ঘটে। সাময়িক ভাবে হিন্দু এবং মুসলিম, দুই পক্ষকেই সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।


১৮৮৫: মসজিদের বাইরে রাম চবুতরায় বেদি তৈরির আবেদন জমা করেন মহন্ত রঘুবীর দাস। ফৈজাবাদ জেলা আদালতে আবেদন জমা দেন তিনি। তাঁর আবেদন খারিজ হয়।


আরও পড়ুন: Ram Mandir Movement: মোদির হাতে মন্দির উদ্বোধন অযোধ্যায়, সূচনা থেকে সমাপ্তি, রামজন্মভূমি আন্দোলনের নেপথ্যনায়ক যাঁরা


১৯৪৯: বাবরি মসজিদের ভিতর আচমকা ‘রামলালা’র মূর্তির আবির্ভাব ঘটে, তাকে ঘির অশান্তি বাধলে মসজিদে প্রবেশের অধিকার হারান মুসলিমরা।


১৯৫০-১৯৫৯: পুজো-অর্চনার অধিকার এবং জমির দখল চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দু পক্ষ।


১৯৬২: মসজিদের মালিকানা চেয়ে আবেদন জানায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।


১৯৮৪: তৎকালীন রাজীব গাঁধীর সরকার হিন্দুদের ওই বিতর্কিত জায়গায় পুজোর অনুমোদন দেয়, অশান্তি আরও ছড়ায়।


১৯৮৫-১৯৮৬: অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দিরের নির্মাণ চেয়ে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।


১৯৯০: বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি দেশ জুড়ে রথযাত্রার সূচনা করেন। বিহারে তাঁকে আটকানো হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।


১৯৯২: করসেবকদের ভিড় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়।


১৯৯৪: বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে তদন্ত শুরু করে লিবারহান কমিশনকে নিযুক্ত করা হয়।


২০০২: গুজরাতে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।


২০০২: এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত ওই জায়গা নিয়ে শুনানি শুরু করে।


২০০৩: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বিতর্কিত ওই জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে, মসজিদের নিচে হিন্দু কাঠামোর হদিশ মেলে।


২০১০:  এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত ওই জায়গাকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং ‘রামলালা’র হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা হিন্দু মহাসভার মধ্যে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।


২০১১-২০১৯: এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সব পক্ষ।


২০১৯: ঐতিহাসিক রায় শোনায় সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত ওই জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যত্র মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প জমি দিতে নির্দেশ দেয় সরকারকে।


২০২০: রামমন্দির নির্মাণের ভূমিপুজো হয় ওই জায়গা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।


২০২৪: মন্দির নির্মাণের কাজ এখনও চলছে। তার মধ্যেই ২২ জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধন।