ABP Metaverse: একশো চৌত্রিশ বছরের আইনি বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা-মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে উল্লেখ করা হয়, অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি ‘রামলালার’। তারপর থেকেই আজকের মুহূর্তটার অপেক্ষায় বহু রাম-অনুরাগী। ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যা হয়ে উঠেছে যেন ভারতের খণ্ডচিত্র। আসমুদ্র হিমাচল থেকে উপচে পড়ছে ভিড়। কিন্তু যাঁরা রাম মন্দিরে যেতে পারলেন না, তাঁদের জন্য এবিপি লাইভের তরফে অভিনব উদ্যোগ। মেটাভার্সে দর্শন করুন রামমন্দির। পুজোর থালি হাতে নিয়ে ঢোকা থেকে ঘণ্টা বাজানো, নানা মুহূর্তের সাক্ষী থাকুন ডিজিট্যালি।
রামমন্দিরের দোরে পৌঁছতে আপনাকে প্রথমে দিতে হবে আপনার পরিচয়। তারপরই মাউস ও কম্পিউটারের অ্যারো-বাটনগুলি প্রেস করে এক-পা , দু-পা করে এগিয়ে যাবেন মন্দিরে। প্রথমে ক্লিক করে সাজিয়ে ফেলুন আপনার নৈবেদ্য ।
এরপর সোজা অ্যারো স্পেস করে এগিয়ে যান মন্দিরের দিকে। সেখানে রয়েছে ঘণ্টা।
এরপর একে একে খুলে যাবে দরজা । আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন রামলালার দিকে।
এভাবেই মূল দ্বার অবধি পৌঁছে যেতে পারবেন আপনি। রামভূমি অযোধ্যার দর্শন করুন এবিপি মেটাভার্সে। ক্লিক করুন।
কেমন হয়েছে অযোধ্যার মন্দির ?
অযোধ্য়ায় নির্মিত রাম মন্দিরের আয়ু এক হাজার বছরেরও বেশি। ভূমিকম্পেও নড়বে না রাম মন্দিরের ভিত। দাবি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি সংস্থার প্রকল্প আধিকারিকের। মূল মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে প্রায় ২ দশমিক ৭ একর জমির ওপরে। মোট বিল্ট আপ এরিয়া ৫৭ হাজার ৪০০ বর্গফুট। মন্দিরের মোট দৈর্ঘ্য ৩৬০ ফুট। প্রস্থে ২৩৫ ফুট। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মন্দিরের চূড়া পর্যন্ত উচ্চতা ১৬১ ফুট। রামমন্দিরের ৩টি তলের প্রতিটির উচ্চতা ২০ ফুট করে। মন্দিরের প্রথম তলে মোট স্তম্ভ রয়েছে ১৬০টি। দ্বিতীয় তলে স্তম্ভের সংখ্যা ১৩২। আর তৃতীয় তলে ৭৪টি স্তম্ভ রয়েছে। রাম মন্দিরের মোট ফটকের সংখ্যা ১২। একেবারে ধ্বজার নীচে থাকবে গর্ভগৃহ। সেখানেই অধিষ্ঠিত রামলালা। মন্দিরে প্রবেশের পথ বা সিঁড়ির নাম দেওয়া হয়েছে সিংহদ্বার। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠলেই সোজা দেখা যাবে গর্ভগৃহ। দেখা মিলবে রামলালার।
আরও পড়ুন :