অযোধ্য়ায় বহু প্রতীক্ষিত রামমন্দিরের (Ayodhya Ram temple ) নির্মাণ প্রায় শেষের মুখে। আগামী বছর লোকসভা ভোটের ( Loksabha Poll ) আগে, ২২শে জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে অযোধ্যা জুড়ে সাজো সাজো রব। বিশাল মন্দির, দায়িত্বও বিশাল। কিছুদিন আগে বেরিয়েছিল একটি চাকরির বিজ্ঞাপন। পুরোহিত পদের জন্য। তারপরই রাশি রাশি আবেদন উপচে পড়ল।
সূত্রের খবর, অযোধ্যার রাম মন্দিরে পুরোহিত হতে চেয়ে প্রায় ৩০০০ প্রার্থী আবেদন জমা হয়েছে । কিছুদিন আগে শূন্যপদের বিজ্ঞাপন দেয় শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। বিশাল সংখ্যক আবেদনকারীর মধ্যে কিছুজনকেই ইন্টারভিউয়ের শর্টলিস্ট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ট্রাস্ট ইন্টারভিউয়ের জন্য যোগ্যতার ভিত্তিতে ২০০ জন প্রার্থীকে বাছাই করেছে। অযোধ্যায় কারসেবকপুরমে সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে । তিন সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য। সেখানে বৃন্দাবনের হিন্দু ধর্ম প্রচারক , জয়কান্ত মিশ্র এবং অযোধ্যার দুই মহন্ত - মিথিলেশ নন্দিনী শরণ এবং সত্যনারায়ণ দাস রয়েছেন। তাঁরাই বেছে নেবেন যোগ্যদের।
নির্বাচিত প্রার্থীদের ছয় মাসের আবাসিক প্রশিক্ষণের পর পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। পৌরহিত্যের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে এঁদের। ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, যাঁরা নির্বাচিত হবেন না, তাঁরা প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন এবং শংসাপত্র দেওয়া হবে। এছাড়াও ভবিষ্যতে তৈরি হতে পারে এমন পুরোহিতের পদের জন্যও তাদের ডাকা হওয়ার সুযোগ থাকবে, তিনি যোগ করেছেন।
সূত্রের খবর, প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্যে জিজ্ঞাসা করা হয় 'সন্ধ্যা বন্দন' কী, এর পদ্ধতি কী এবং এই পূজার মন্ত্র কী? এইসব প্রশ্ন। ভগবান রামের উপাসনার 'মন্ত্র' কী এবং কী কী রীতি মেনে চলতে হবে ইত্যাদি।
নির্বাচিত পুরোহিতদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তা শীর্ষস্থানীয়দের দ্বারা প্রস্তুত করা একটি ধর্মীয় পাঠ্যক্রমের উপর ভিত্তি করেই করা হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন, প্রার্থীরা বিনামূল্যে খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা পাবেন এবং ২০০০ টাকা করে বৃত্তি পাবেন।
অক্টোবরে মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট আমন্ত্রণ জানায় ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য। প্রধানমন্ত্রী X অ্যাকাউন্টে তা শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, "জয় সিয়া রাম! আজ আবেগে ভরা একটি দিন। সম্প্রতি, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের আধিকারিকরা আমার বাসভবনে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁরা আমাকে শ্রী রামের অভিষেক উপলক্ষে অযোধ্যায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি ধন্য বোধ করছি। এটা আমার সৌভাগ্য যে আমার জীবদ্দশায়, আমি এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকব"। এখন সবাই তাকিয়ে জানুয়ারে ২২ এর দিকে।