নয়া দিল্লি : বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনের সম্প্রসারণ-সহ অযোধ্যায় জোরকদমে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। কারণ, পরের বছর জানুয়ারিতেই বিশাল জাঁকজমক করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। তাই পরিকাঠামোর কাজ ত্বরাণ্বিত করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এক বিবৃতিতে এমনই জানানো হয়েছে। আরও সংযোজন, সাহাদতগঞ্জ থেকে নয়া ঘাট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা অর্থাৎ রাম পথ-এর কাজও চলছে জোরকদমে। রামজানকী পথ ও ভক্তি পথ-এর নির্মাণকাজ-এর রূপরেখাও তৈরি। 


সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাস্তার এই করিডরগুলি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলিই ভক্তদের শ্রী রাম জন্মভূমি ও হনুমান গ্রহী মন্দিরে নিয়ে যাবে। রাম জ্মভূমি পথ ৩০ মিটার চওড়া হবে এবং ভক্তি পথ হবে ১৪ মিটার চওড়া।


এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাম মন্দির চালুর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য অনেক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে খবর। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত বিভিন্ন রকমের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখছেন।


অযোধ্যার উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে স্থানীয় দোকানদাররা কোনও বাধা ছাড়াই নিজেদের দোকানের জমি দিয়েছেন। যাতে বিশাল জাঁকজমক করে মন্দিরের উদ্বোধন করা যায়। বিবৃতিতে এমনই বলা হয়েছে। যদিও এই প্রকল্পের কাজে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের কোনও অভিযোগ নেই। যাঁদের এই কাজের জন্য সরানো হয়েছিল, তাঁদের নতুন কমপ্লক্সে দোকান দেওয়া হয়েছে। অনেককে তাঁদের পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে।


প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরুতেই 'রাম-মন্দির' উদ্বোধনের দিনক্ষণ জানিয়ে দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ত্রিপুরা সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আগামী বছরের শুরুতেই উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। আগামী ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে বলে জানান তিনি। ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার সাবরুমের জনসভা থেকে ভোটমুখী রাজ্যে দাঁড়িয়ে যে 'বড়' ঘোষণা করেন অমিত শাহ


ভগবান রামের নামে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে যোগী আদিত্য়নাথ সরকার। কয়েক মাস আগে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা(Priyanka Gandhi Vadra)। পাশাপাশি অযোধ্যার রামমন্দির ট্রাস্টের জমি লুঠের অভিযোগ তোলেন বিজেপি ও আরএসএসের সদস্যদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, দলিতের জমি বিক্রির অনুমতি নেই। যা ভুল করে কিছু অফিসার কিনে নিয়েছেন। জমি-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে তদন্ত দাবি করেন।