অযোধ্যা : গুরুতর অসুস্থ অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। ব্রেন স্ট্রোকের জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থা তাঁর। সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৮৫ বছরের প্রধান পুরোহিত মহান্ত সত্যেন্দ্র দাসকে রবিবারই ওই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। 

Continues below advertisement

এরপর সোমবার এক বিবৃতিতে SGPGI হাসপাতালের তরফে বলা হয়, "শ্রী সত্যেন্দ্রজির স্ট্রোক হয়েছে। উনি ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনসিভও। রবিবার তাঁকে SGPGI-তে ভর্তি করা হয়। এই মুহূর্তে তিনি হাসপাতালের নিউরোলজির HDU-তে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও, তিনি কমান্ড শুনছেন। বর্তমানে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি স্থিতিশীল। তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।" ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় অস্থায়ী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন তিনি।

জুনের মধ্যে অযোধ্য রাম মন্দিরের নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা-

Continues below advertisement

গত বছরই নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, অযোধ্যা রাম জন্মভূমি মন্দিরের নির্মাণ ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে প্রাচীর এবং জুতোর ব়্যাক তৈরির কাজও। 

তিনি জানিয়েছেন,  শনিবারই তাঁরা মন্দির নির্মাণ কাজ খতিয়ে দেখেছেন। প্রকল্পের কাজ শেষের একটা টাইমলাইন শীঘ্রই ঠিক করা হবে। তাঁর কথায়, "প্রাচীরের জন্য আনুমানিক ৮,৪০,০০০ ঘনফুট পাথর স্থাপন করা হবে। তার মধ্যে আর মাত্র ৩ লক্ষ ঘনফুট অবশিষ্ট রয়েছে।  আমরা চলতি বছরেরই জুন মাসের মধ্যে ১ লক্ষ ঘনফুট শেষ করে ফেলতে পারব। যার মধ্যে ৬টি মন্দির আছে।" তাঁর কথায়, শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণ কমিটি অযোধ্যর সম্মানীয় সাধুদের নামে উত্তর ও দক্ষিণ দিকের চারটি গেটের নামকরণের অনুরোধ করেছে।

মহাকুম্ভ মেলা মধ্যেই পুণ্যার্থীদের আগমনের কথা মাথায় রেখে, রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র-র সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন, "বসন্ত পঞ্চমীর পর জমায়েত কম করা হবে এবং ফেব্রুয়ারির আবহাওয়া থাকবে মনোরম। বসন্ত পঞ্চমীর পর অনেক স্বস্তি পাওয়া যাবে। তাই আশপাশের পুণ্যার্থীরা যদি সেই সময় মন্দিরে আসার কথা ভাবেন, তাহলে ভালো হয়। আমরা আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, দয়া করে এই আবেদনটা একটু ভেবে দেখবেন।" 

মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হয়েছিল ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। বৈদিক মতে সেই আচার পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে নেতৃত্ব দেন একদল পুরোহিত।