নয়াদিল্লি : অযোধ্যায় রামলালার প্রবেশ ও মন্দিরে প্রাণ-প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষ পুনর্গঠনের অভিযান শুরু হবে। যে ভারতবর্ষ হবে সম্প্রীতি, একতা, উন্নতি, শান্তি ও প্রত্যেকের ভাল থাকার । রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগের দিন রবিবার এই মন্তব্য করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে ভাগবত উল্লেখ করেছেন, অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দু সমাজের অনর্গল লড়াইয়ের কথা। তাঁর বক্তব্য, এই বিতর্ক নিয়ে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব ও তিক্ততা এবার শেষ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট একটা ভারসাম্যযুক্ত রায় ঘোষণা করে। শীর্ষ আদালত সমস্ত সত্যতা ও তথ্য এবং সব পক্ষের বক্তব্য শুনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 


ভাগবত বলেন, "ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে গেলে, দেশের সবথেকে বেশি পূজিত হন ভগবান রাম। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশের সমাজ তাঁকে আদর্শ হিসাবে গণ্য করে। তাই, যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল তা এবার শেষ হওয়া উচিত। এই সময়ের মধ্যে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তাও এবার কেটে যাওয়া উচিত। অযোধ্যা মানে এমন একটা শহর যেখানে কোনও যুদ্ধ নেই। অযোধ্যা মানে এমন একটা জায়গা যেখানে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তাই এই মুহূর্তে দেশে সবথেকে জরুরি অযোধ্যার পুনর্নির্মাণ। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ জাতীয় গৌরবকে পুনরুজ্জীবিত করছে।" 


কাল রাম মন্দিরের উদ্বোধন। নব নির্মিত রাম মন্দির ও কৃষ্ণশিলার রামলালাকে দর্শন করতে সারা দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এসে মিশেছেন উৎসবের আবহে। মিলেমিশে একাকার বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতি। মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে রাম-সীতার গান। চলছে রামচরিতমানস পাঠ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, এসেছেন ভক্ত ও সাধু-সন্তরা। ফুলে ফুলে ঢাকা রাম মন্দির।


আজ ১২৫টি কলসের জলে রামলালার মূর্তিকে স্নান করানো হবে। অন্যদিকে, জনস্রোত রুখতে গতকাল রাত থেকেই অযোধ্যার সব রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। ট্রেন বন্ধ, কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহরটাকে। ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে