কলকাতা: বিয়ের পাঁচ মাস পরেই বিচ্ছেদের আবেদন! কারণ? মধুচন্দ্রিমায় (Ayodhya Honeymoon Gone Wrong) গোয়ার পরিবর্তে অযোধ্যা ও বারাণসী নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। তাই সফর সেরে ফেরার ১০ দিন পরই ভোপালের ফ্যামিলি কোর্টে বিচ্ছেদের আবেদন জানালেন স্ত্রী (Wife Seeks Divorce In Bhopal Family Court)। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। 


বিশদে...
অভিযোগকারিণী বিচ্ছেদের আবেদনে জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করেন তাঁর স্বামী। ভাল বেতনও পেয়ে থাকেন। তিনি নিজেও কর্মরত। সব মিলিয়ে মধুচন্দ্রিমার জন্য বিদেশে যাওয়া কঠিন কোনও ব্যাপারই ছিল না। আর্থিক প্রতিবন্ধকতা না থাকা সত্ত্বেও স্বামী বিদেশে মধুচন্দ্রিমায় যেতে রাজি হননি, দাবি অভিযোগকারিণীর। বরং দেশের কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। স্বামীর যুক্তি, মা-বাবাকে দেখতে হয়। তাই বিদেশে যাওয়া সমীচীন হবে না। দু'জনে মিলে ঠিক করেছিলেন, গোয়া বা দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে যাবেন। কিন্তু পরে অযোধ্য়া ও বারাণসীর বিমানের টিকিট কাটেন, বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়। স্ত্রীর দাবি, মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার এক দিন আগে সফরে পরিবর্তনের কথা জানিয়েছিলেন স্বামী। যুক্তি দেন, তাঁর মা রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আগেই ওই শহর ঘুরে দেখতে চান। তাই এই সিদ্ধান্ত।
সফরের আগে এই নিয়ে কথা বাড়াননি স্ত্রী। কিন্তু ফিরে আসার পরই ফ্যামিলি কোর্টে বিচ্ছেদের আবেদন দাখিল করেন। তাঁর আরও দাবি, বাড়ির লোকেদের দেখভালেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন স্বামী। স্ত্রীর দিকে দেখার সে ভাবে সময়ও পাননি। যদিও স্বামীর বক্তব্য, একটা ছোট বিষয় নিয়ে অযথা হইচই করছেন অভিযোগকারিণী। আপাতত ভোপালের ফ্যামিলি কোর্টে কাউন্সেলিং চলছে দম্পতির। তবে বিচ্ছেদের আর্জির কারণ প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে যায়। 


রামমন্দির উদ্বোধন...
গত ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বেলা ১২টা বেজে ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ড থেকে ১২টা বেজে ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত মাহেন্দ্রক্ষণে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী। ষোড়শ উপাচারে দেন পুজোও। পুষ্পাঞ্জলির পর আরতিও করেন। বহু প্রতীক্ষিত প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর শিশু-রামের মূর্তির সামনে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে। অযোধ্যায় এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান ঘিরে, দেশ তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও তুমুল উৎসাহের জোয়ার দেখা গিয়েছিল।


 


আরও পড়ুন:দৃষ্টিহীনতা কাড়তে পারেনি জেদ, লড়াই করেই দেশের IFS অফিসার বিনো