নয়াদিল্লি: এবার চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্যও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির চিকিৎসা প্রক্রিয়াতেই ভরসা। প্রাণীদের সুস্থ রাখতে ভরসা করা হচ্ছে নিমের তেল থেকে হলুদে। বর্ষার সময় যাতে কোনও প্রাণী ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রান্ত সংক্রমণে না ভোগেন তার জন্য়ই এই ব্যবস্থা দিল্লি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের।
বর্ষা এসে পৌঁছেছে। এই সময় যাতে চিড়িয়াখানার (Delhi Zoo) সব প্রাণী সুস্থ থাকে তার জন্য় দিল্লি চিড়িয়াখানা ভরসা করেছে আয়ুর্বেদিক (Ayurvedic Medicine) পদ্ধতিতে। পিটিআই-কে (PTI) দিল্লি চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর সঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন, 'রাজধানীতে বর্ষা এসে পৌঁছেছে, প্রাণীদের সুস্থ রাখতে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জন্য আমরা ভারতীয় (Indian medicine) টোটকা ও ওষুধের উপর ভরসা করছি- যেমন নিমের তেল- (Neem Oil) যেটা প্রাণীদের পোকামাকড় ও মশার কামড় থেকে রক্ষা করবে। মাছির হানা থেকেও রক্ষা করবে।' তিনি জানাচ্ছেন, নিমের তেল ভেষজ মাছিনাশক এবং জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। তিনি জানিয়েছেন হলুদের কথাও। হলুদ প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে, ঘা সারিয়ে তোলে। চুলকানি, ত্বকের সমস্যা, সংক্রমণ, ঘা সারাতে কাজে লাগে। তিনি জানাচ্ছেন হলুদ গুঁড়ো এভাবে নানা কারণে কাজে লাগতে পারে।
বর্ষায় অনেকসময় চিড়িয়াখানা চত্বরের নানা জায়গায় জল জমে যায়- যেখানে মশার বংশবিস্তার হয়। এটা আটকানোর জন্য দিল্লি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ভরসা করছে চুনের উপর। জমা জলে চুন ছড়িয়ে রোধ করা হবে মশার বংশবিস্তার, এমনটাই জানাচ্ছেন দিল্লি চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর।
কয়েকদিন আগেই প্রবল বর্ষণে বিধ্বস্ত হয়েছিল দিল্লি (Delhi Monsoon)। যা ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসে সর্বোচ্চ। সেই বৃষ্টিতে প্রভাব পড়েছিল দিল্লি চিড়িয়াখানাতেও। জল ঢুকে পড়েছিল দিল্লি চিড়িয়াখানার চত্বরে, বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটেছিল। সমস্যা তৈরি হয়েছিল প্রাণীদের রাখার এনক্লোজারে। কর্মীদের থাকার জায়গাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাণীদের থাকার জায়গায় জল ঢুকলে যাতে দ্রুত বের করে দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও করা হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: মোদির জন্য স্পেশাল Men in Blue জার্সি! কত নম্বর জার্সি উপহার দিল BCCI?