মুম্বই: একটা স্লোগান আপনি মুম্বই এলে বারবার শুনতে পাবেন। ক্রিকেট মানেই এখানে রোহিত শর্মা। ''মুম্বই কা রাজা, রোহিত শর্মা....মুম্বই কা রাজ, রোহিত শর্মা'' ক্রিকেটপ্রেমীদের আবেগের নাম রোহিত শর্মা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও যেই আবেগের সামনে মাথা নোয়াতে হয়েছে। একটা মানুষকে নিয়ে কতটা ভালবাসা থাকলে এমনটা হয়। গত এক বছরের তিনবার তিনি অধিনায়ক হিসেবে ফাইনালে উঠলেন। আগের দুবার ব্য়র্থ হয়েছিলেন। তবুও সমর্থকরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। গত আইপিএলের আগে নেতৃত্বভার হারান। তবুও সমর্থকরা গোটা দলের বিরুদ্ধে গিয়েও রোহিত শর্মার জন্য গলা ফাটিয়েছিলেন। সমর্থকদের পাল্টা ফিরিয়ে দেওয়ার ঋণ ছিলই একটা। সেই ঋণ শোধ করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। বার্বাডোজের ২২ গজে ভারতের পতাকা উড়িয়ে। আর ঘরে ফিরলেন রাজার মত। নিজের পারফরম্য়ান্স নয়। বোর্ডের সংবর্ধনা মঞ্চে রোহিতের মুখে সতীর্থদের অবদানের কথা বারবার শোনা গেল। 


বৃহস্পতিবার সঞ্চালক যখন রোহিতকে ডাকলেন। গোটা গ্য়ালারি উঠে দাঁড়িয়ে অভিভাদন জানাচ্ছেন তাঁদের প্রিয় অধিনায়ককে। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে। প্রত্যেকের হাতে রোহিতের ছবি ও প্ল্যাকার্ড। অনেকে তো ৪৫ নম্বরের জার্সিও পরে এসেছিলেন। প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিত বললেন, ''এই ট্রফিটা আমরা জিতেছি। কিন্তু এই ট্রফিটা গোটা দেশবাসীর। প্রত্যেক ভারতীয়র বিশ্বকাপ। এছাড়া যাঁরা যাঁরা এই মুহূর্তটা তৈরির জন্য় আমাদের পাশে ছিল, প্রত্যেকের ট্রফি এটি।'' ফাইনালের শেষ ওভারে হার্দিকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তারকা অলরাউন্ডার হতাশ করেননি তাঁর অধিনায়ককে। এই হার্দিক ও রোহিতের সম্পর্ক নিয়ে কত কথাই না শোনা গিয়েছিল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে হার্দিকের নাম ঘোষণা হওয়ার পরই মুম্বই ম্য়ানেজমেন্টকে সােশ্যাল মিডিয়ায় তুলোধনা করা হয়েছিল। গোটা আইপিএলে বারবার ওয়াংখেড়ের দর্শক হোক বা দেশের যে কোনও মাঠেই হোক হার্দিককে ট্রোল করা হয়েছে, বিদ্রুপ করা হয়েছে। যদিও বিশ্বকাপ শেষে রোহিতের হার্দিকের গালে চুমু খাওয়ার দৃশ্য যেন আগের সব কিছুর থেকে কতটা আলাদা। এদিন ওয়াংখেড়েতে হাজার হাজার দর্শকের সামনে বঢোদরার অলরাউন্ডারকে স্যালুট জানালেন হিটম্য়ান। 


সেদিন শেষ ওভারে হার্দিক পাণ্ড্যর প্রথম বলে ডেভিড মিলার বড় শট খেলেছিলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য ক্যাচে বাউন্ডারি লাইন থেকে মিলারকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান সূর্যকুমার যাদব। রোহিত এদিন মঞ্চ থেকেই বলেন, সূর্যের ক্যাচটাই অন্য়তম টার্নিং পয়েন্ট। ওই ক্যাচটা না ধরতে পারলে খেলার ফল অন্য় কিছুও হতে পারত।''