নয়াদিল্লি: আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথ ডাক্তাররা কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন না, তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বৃদ্ধির ওষুধ তাঁরা দিতে পারবেন। এমনটাই রায় দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই প্রসঙ্গে বলা দরকার যে সুপ্রিম কোর্টের আগে কেরলের হাইকোর্ট-ও একই রায় দিয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ঘিরে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে যখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯ প্রতিরোধে একটি নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে তিনি বলেন, যোগ ব্যায়াম, অশ্বগন্ধার মতো বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক জরিবুটি এবং আয়ুষ-৬৪ ওষুধ করোনার সংক্রমণ রোধ করতে পারে, এমনকী কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তকে সুস্থও করতে পারে। এমন বিজ্ঞপ্তির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন একটি কড়া চিঠি দেয়।
আয়ুষ এবং হোমিওপ্যাথির ডাক্তারেরা, যে ট্রিটমেন্ট হিসেবে নয়, কেবলমাত্র মহামারীর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার দ্বারা অনুমোদিত ট্যাবলেট দিতে পারেন মানুষকে, সেকথা স্বাস্থ্য দফতর থেকে আগেই বলা হয়েছিল। গত ২১ আগস্ট কেরল হাইকোর্ট আয়ুষ চিকিৎসকদের এই বিষয়ে প্রেসক্রিপশন লেখা নিষিদ্ধ করে। কেরল হাইকোর্টের রায় বদলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দেয় ডঃ একেবি সদ্ভাবনা মিশন স্কুল অফ হোমিও ফার্মাসি। সুপ্রিম কোর্টে সেই আর্জি খারিজ হয়।
গোটা বিশ্বে সংক্রমণ মোট ৭.২ কোটি, যার মধ্যে ১৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে অতিমারীর জেরে।ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শিকার ৯৯ লক্ষ মানুষ। মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭০৯ জন । সংক্রমণের হার কমছে দ্রুত। কমেছে মৃত্যুও। এই সময়ে দেশের করোনা রোগীদের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্র বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট।