নয়াদিল্লি: বিমান দুর্ঘটনার একবছর পর দায় স্বীকার করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভুলবশত ওই বিমান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে মেনে নিলেন তিনি। গোটা ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করলেন। (Vladimir Putin)

Continues below advertisement

২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার গ্রোঞ্জি শহরে নামার কথা ছিল আজেরবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের। শেষ মুহূর্তে বিমানটির অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজাখস্তানে ভেঙে পড়ে বিমানটি। বিমানে সওয়ার ৬৭ জন যাত্রীদের মধ্যে ৩৮ জন মারা যান দুর্ঘটনায়। (Azerbaijan Plane Crash)

বিমানটি ভেঙে পড়েনি, সেটিকে নামানো হয়েছে বলে গোড়া থেকেই অভিযোগ উঠছিল। এবার তাতে সিলমোহর দিলেন পুতিন। আজেরবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করতে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল রাশিয়া। সেই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বিমানেটির খুব কাছে ফেটে যায়।

Continues below advertisement

তবে বিমানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ফেটেছিল, সরাসরি সেটি বিমানে আঘাত হানেনি বলে দাবি করেছেন পুতিন। তাঁর বক্তব্য, “যে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, সেগুলি সরাসরি বিমানে আঘাত হানেনি। তেমন ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে পড়ত বিমানটি।” পুতিনের দাবি, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের তরফে পাইলটকে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, রাশিয়ায় অবতরণ না করে, কাজাখস্তানে অবতরণ করতে। সেখানেই ভেঙে পড়ে বিমানটি।

পুতিন আরও বলেন, “এই ধরনের দুর্ভাগ্য়জনক ঘটনার ক্ষেত্রে রাশিয়া প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে। ক্ষতিপূরণ দেবে। যা বা যাঁরা ঘটনার জন্য দায়ী, আইনি পদক্ষেপ করা হবে তাঁদের জন্য।”

বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে রাশিয়া নিজেদের ভূমিকা অস্বীকার করছে, দুর্ঘটনার আসল কারণ ধামাচাপা দিচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছেন ইলহাম। পুতিন দুর্ঘটনার কারণ খোলসা করার পর, তাঁকে ধন্যবাদও জানান। তবে ওই দুর্ঘটনার দরুণই রাশিয়া এবং আজেরবাইজানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। 

সেই সময় আজেরবাইজান সরকার জানিয়েছিল, রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমানে আঘাত হেনেছিল। সেই অবস্থায় পশ্চিম কাজাখস্তানে বিমানটি ভেঙে পড়ে। ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে মারা যান ৩৮ জন। এই দুর্ঘটনার আগে রাশিয়া এবং আজেরবাইজানের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত উষ্ণ। তাতে নয়া মাত্রা যোগ করে জুন মাসের কিছু ঘটনা। জানা যায়, আজেরবাইজান সীমান্ত থেকে নাগরিকদের গ্রেফতার করে রাশিয়া। তাদের উপর এমন অত্যাচার চালানো হয় যে অনেকে মারা যান।