নয়াদিল্লি: বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণী সহ কয়েকজন প্রথম সারির বিজেপি নেতার বিচারে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই কোর্টের রায়দানের সময়সীমা এক মাস, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ আগস্ট রায়দানের দিন স্থির ছিল। আডবাণী ছাড়াও এই মামলায় বিচারাধীন মুরলি মনোহর জোশী, উমা ভারতী ও ১৯৯২ এর ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় করসেবকদের হাতে মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা কল্যাণ সিংহ, বিনয় কাটিয়ার, স্বাধ্বী রিতাম্ভরা সহ ৩২ জন অভিযুক্ত।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বিশেষ বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদবের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এবং আইনি প্রক্রিয়া একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটা মাথায় রেখে আমরা রায় ঘোষণা সহ গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাস সময় দিচ্ছি।


সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭-র এপ্রিল নিম্ন আদালতকে এই মামলার প্রতিদিন শুনানি চালিয়ে ২ বছরের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়। গত মাসে বিশেষ আদালত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৯২ বছরের আডবাণী, ৮৬ বছরের জোশীর বক্তব্য নথিবদ্ধ করে। আডবাণী অবশ্য বাবরি ধ্বংস হওয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর আইনজীবী কে কে মিশ্র প্রবীণ নেতাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন, বলেন, যে তথ্যপ্রমাণ পেশ হয়েছে, তা জাল।
৩৫৪ জন সরকার পক্ষের প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান পরীক্ষা শেষ করার পর গত ৫ জুন থেকে বিশেষ সিবিআই আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩১৩ ধারার আওতায় অভিযুক্তদের বিবৃতি নথিবদ্ধ করছে।

গত নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কয়েক দশক ধরে চলা অযোধ্যা জমি বিতর্ক মামলার নিষ্পত্তি করে হিন্দুদের পক্ষে রায় দিয়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করে। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই জমিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

১৯৯২ এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি পতনের এফআইআর ১৯৭/৯২ মসজিদ ভাঙায় অভিযুক্ত করসেবকদের বিরুদ্ধে রুজু হয়। আর এফআইআর ১৯৮/৯২ করসেবকদের প্ররোচনা দেওয়া ‘উত্তেজক ভাষণ দেওয়া’র অভিযোগে দায়ের করা হয় আডবাণী সহ একাধিক বিজেপি নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে। আরও প্রায় ৪৭টি মামলা দায়ের করা হয়, যেগুলি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়। শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের নামও মামলায় ছিল, যদিও তাঁর মৃত্যুর পর নাম বাদ দেওয়া হয়।