নয়া দিল্লি: ফের প্রকৃতির রুদ্ররূপের সামনে অসহায় মানুষ। বদ্রীনাথ ধামের কাছে মানা গ্রামে হিমবাহের নিচে চাপা পড়লেন ৫৭ জন শ্রমিক। এর মধ্যে ১০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৪৭ জন শ্রমিকের এখনও খোঁজ মেলেনি।
এই শ্রমিকরা সকলেই বিআরও-র সঙ্গে চুক্তিতে নিযুক্ত ঠিকাদার। চামোলির কিছু কিছু এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে ভারী তুষারপাত চলছিল। এরই মধ্যে বদ্রীনাথ মন্দির থেকে তিন কিলোমিটার দূরে হাইওয়ের কাছে তুষারধস নামে। এতেই চাপা পড়ে যায় ৫৭ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে মধ্যে দশজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রামটি ভারত ও চীন সীমান্তে অবস্থিত। এখানে একটি সেনা ঘাঁটি আছে। তাই, সেনাবাহিনী প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দল পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজে হাত লাগানোর জন্য।
সূত্রের খবর, ক্রমাগত তুষারপাত হয়ে চলায় উদ্ধারকার্যে বেশ কিছু দেরি হয়। এরই মধ্যে ৩ থেকে ৪টে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। মিনার বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সিআর সংবাদ এজেন্সিকে জানান, ইতিমধ্যেই ৬০ থেকে ৬৫ ব্যক্তি রয়েছেন এই উদ্ধারকার্যে।
ইতিমধ্যেই যোশীমঠ থেকে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল রওনা দিয়েছে। বরফ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজও চলছে যাতে অ্যাম্বুলেন্স সহজেই নিকটবর্তী হাসপাতালে পৌঁছতে পারে। এমনকী হেলিপ্যাডও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল হেলিকপ্টার করে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছে। এরই মধ্যে ফের তুষারপাত শুরু হওয়ায় বারংবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।
এদিকে মৌসম ভবনের তরফে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। যার জেরে বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। একদিকে টানা তুষারপাত, আরেকদিকে, বৃষ্টি, সব মিলিয়ে প্রকৃতির রোষানলে বিপর্যয় আরও উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে