বাদুড়িয়া: উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় গতকাল পুলিশর ওপর হামলার ঘটনায় ১ বিজেপি নেতা সহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই বিজেপি নেতার নাম রাম দাস। আজ তাদের আদালতে পেশ করা হয়।


ঘটনায় বাদুড়িয়া থানার ওসি সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। ত্রাণ বিলিতে বৈষম্যের অভিযোগে গতকাল অশান্তি হয় বাদুড়িয়ায়। অশান্তি থামাতে গেলে আক্রান্ত হয় পুলিশ।

সম্প্রতি বাদুড়িয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নিজের উদ্যোগে এলাকায় চাল-ডাল বিলি করেন। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ করেন, অনেকেই সেই ত্রাণ পাননি। এর প্রতিবাদে বুধবার তারাগুনিয়া দাসপাড়ায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। আটকানো হয় রাস্তা। তবে বাদুড়িয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর অরিত্র ঘোষের দাবি, কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি। তিনি জানান, ‘পরশু সন্ধেয় সব পরিবারকে মাথাপিছু ৩ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল দিয়েছি।...কিন্তু কেউ বলতে পারবে না ত্রাণ পাইনি, সবাই পেয়েছ।’

অবরোধ-বিক্ষোভের খবর পেয়ে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। কিন্তু, তাদের দেখা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অবরোধকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা। বাদুড়িয়া থানার ওসি বাপ্পা মিত্র আক্রান্ত হন। ধস্তাধস্তিতে মাথা ফাটে ওসির। এখানেই শেষ নয়, ইটবৃষ্টি, লাঠি দিয়ে আঘাত, টেনে হিঁচড়ে গিয়ে যাওয়া। শেষপর্যন্ত অন্য পুলিশকর্মীরা তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন।

এরপর ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, বিজেপির এক কর্মী পরিকল্পিতভাবে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে, আমরা পুলিশকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। ত্রাণের কোনও সমস্যা নেই। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কলকাতায় বলেন, ‘‘বাদুড়িয়ার ঘটনার সঙ্গে সরকারি রেশনের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও কোনও এনজিও বা কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন।’’
এরপর ১ বিজেপি নেতা সহ ২২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।