কলকাতা: নারদ মামলায় নাটকীয় মোড়!  গতকাল সকালে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।  সন্ধেয় সিবিআই আদালত তাঁদের জামিন দেয়।  রাতে কলকাতা হাইকোর্ট জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করে।  এরপর চারজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।  ভোররাতে অসুস্থতার জন্য মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।  সুব্রত মুখোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে এলেও কোনও পরীক্ষা না করিয়ে ফের জেলেই ফিরে যান।  বুধবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।
প্রেসিডেন্সি জেলে গভীর রাতে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। জেলের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।  প্রেসিডেন্সি জেলের ভেতরে শোভনরা পৌঁছতেই বন্ধ হয়ে যায় ফটক। বাইরে ফটক ধরেই ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তিনি। বন্ধুর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে এল তাঁর। গলায় ফুটে উঠল আর্তি, ওনার ওষুধটুকু অনন্ত নিয়ে যেতে দিন। 
কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, ‘ওনার ওষুধ, সবকিছু আমার কাছে।  কী করছে ভেতরে কে জানে।  মুখের ওপর দরজা বন্ধ  করে দিল। উনি হাইলি ডায়বেটিক, ৫০০-র ওপর ইনসুলিন নিতে হয় তাঁকে।  এজন্য কিছু খেতে হয়। ওনার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। এক ফোঁটা জল খেতে দেওয়া হয়নি।  সিবিআই পশুর মতো ব্যবহার করছে। রাজ্যপাল দেখুন, কী অবস্থা চলছে।  অতিমারীর পরিস্থিতিতে যেভাবে বাড়ি থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে, কোনও আততায়ীকেও এভাবে নিয়ে আসা হয় না’।
এদিন সকালে শোভনের অসুস্থতা সম্পর্কে তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাতে এসএসকেএম-এ শুধু চা বিস্কুট খেয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।  তার আগে দীর্ঘ সময় সিবিআই দফতরে থাকার সময় তিনি কিছু খাননি। তাই নিতে পারেননি ইনস্যুলিনও।  বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিওপিডি-র সমস্যা আছে।  তাই শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে অক্সিজেন দিতে হয়।  আজ সকালে তিনি প্রাতঃরাশও করেননি।