ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। সন্ধে নামলেই শহরে শহরে ব্ল্যাকআউট। বাজছে সাইরেন। ঝাঁকে ঝাঁকে ঢুকে পড়ছে ড্রোন। গুলি, গোলা, শেলের আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছে পাক সেনা। রাডারে নজর রেখে ভারতের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়া প্রতিটি ড্রোনকে টার্গেট করে করে ধ্বংস করছে ভারতের সেনারা। কঠিন এই পরিস্থিতিতে হরিয়ানার গুরুগ্রাম ও সিরসা জেলা প্রশাসন কিছু বিশেষ সুরক্ষা সতর্কতা জারি করেছে। গুরুগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, যার কঠোরভাবে পালন করা জরুরি। 

নোটিশ জারি করে গুরুগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অজয় কুমার লিখেছেন, "সম্প্রতি পহেলগাঁও হামলা ও চলমান ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আবহে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩-এর ধারা ১৬৩ অনুসারে, ৯ মে থেকে ৭ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত গুরুগ্রামে নিম্নলিখিত কাজগুলি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।"

জেনে নিই কোন কোন কাজ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত 

- আকাশে ড্রোন ওড়ানো - মাইক্রো লাইট এয়ারক্রাফ্ট চালানো - গ্লাইডার/পাওয়ার গ্লাইডার ব্যবহার করা - হট এয়ার বেলুন রাইড- ড্রোন কাইট - চাইনিজ মাইক্রো লাইট ব্যবহার- উৎসবের সময় আতশবাজি ও পটকা জ্বালানো 

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অজয় ​​কুমার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার ফলে উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। প্রশাসনের কাছে খবর আছে, গুরুগ্রামে কোনও কোনও সমাজবিরোধী বা সন্ত্রাসকামী গোষ্ঠীরা  বিস্ফোরক পদার্থ, ড্রোন, মাইক্রোলাইট বিমান, গ্লাইডার/পাওয়ার গ্লাইডার, হট এয়ার বেলুন, ঘুড়ি ওড়ানো এবং চিনা মাইক্রোলাইট ব্যবহার করতে পারে। 

নিরাপত্তা নিয়ম লঙ্ঘনের ফলে ব্যবস্থাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, লঙ্ঘন করলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর ধারা ২২৩ অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদ রোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। আসুন সতর্ক থাকি এবং সবার নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা করি। 

সিরসা জেলা প্রশাসনের পরামর্শএদিকে, সিরসা জেলা প্রশাসনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর মাধ্যমে পরামর্শ জারি করেছে। সিরসা জেলা প্রশাসন কর্তৃক জারি করা নোটিশে লেখা আছে, "সকল নাগরিক রাতে ঘরে থাকুন এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাইরে না যান। কোথাও কোনো ধরণের আলো জ্বালানো যাবে না। কোনো গুজবের দিকে নজর দেবেন না, ভয় পাবেন না। জেলা প্রশাসন কর্তৃক সময় সময় জারি করা আনুষ্ঠানিক সূচনার দিকেই নজর দিন। জেলায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।"