ঢাকা : শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফের উত্তাল বাংলাদেশ। আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। উভয়পক্ষের মিলিয়ে আহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে বলে খবর, সংবাদমাধ্যম সূত্রে। 


সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রবিবার ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাও করেন আনসার সদস্যরা। আটকে রাখা হয়  অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ্-সহ বেশ কয়েকজনকে। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় হাসনাত আবদুল্লাহ্ পোস্ট করায়, পথে নামেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে পদ্মাপাড়।  


বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো' সূত্রে খবর, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে এই  অশান্তি চলছে গত দু দিন ধরে। বহুদিন ধরে গ্রামরক্ষা বাহিনী আনসাররা চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছে । আনসারদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বৈষম্যের শিকার। তাই আবারও  চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে পথে নামে তারা। 


রবিবার দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি উত্তাল হয়। ঢাকার সচিবালয়ের গেটে গেটে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ।  অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সচিবালয়ের রাস্তা। সেখানেই আন্দোলনকারীরা আটকে রাখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ সহ কয়েকজনকে। 


সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে মাত্রই অশান্তি চরমে ওঠে। মিছিল করে রাতের বেলা সেখানে হাজির হন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। সূত্রের খবর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সংখ্যায় প্রায় হাজার জন ছিলেন। তারা লাঠি হাতে চড়াও হয় বলে খবর। তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় ইট, পাটকেল ছোড়া। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হন দুই পক্ষেরই বহু জন। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে যেতে থাকলে পৌঁছায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। আহতদের ভর্তি করানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ।


বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আনসারের মতে, এই বিক্ষোভ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।  জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


অন্যদিকে আবার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আনসারদের হয়ে যারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তারা আনসার সদস্য নয়। তারা বহিরাগত। অন্য উদ্দেশ্য তাদের। 


আরও পড়ুন           


কেন বাংলাদেশের মানুষ ভারতের প্রতি 'ক্ষুব্ধ'? দিল্লিকে নীতি পরিবর্তন করতে বললেন মহ. ইউনুস