ঢাকা : কোভিড গ্রাফ বাড়তে দেখে ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ বাংলাদেশে। করোনাকালে আগেই ২৯ মে পর্যন্ত দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সংক্রমণ বাড়তে দেখে ফের সেই সিদ্ধান্তেই অনড় থাকল ঢাকা। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বাংলাদেশে।


এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি জানান, দেশের কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্টাফ ও অভিভাবকদের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, একবার দেশের কোভিড পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেই ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফের ওপর নজর রাখছে প্রশাসন। তবে অনলাইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পঠন-পাঠন আগের মতোই চালু থাকবে। কোভিডের চেইন ব্রেক করতে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার।


কোভিডের প্রথম ঢেউ থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বহু রোগীর। গত বছর মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৭৯৩,৬৯৩ জন। সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১২,৪৫৮ জন।


এদিকে, বাংলাদেশে কোভিডের দাপট বাড়তেই এবার রোহিঙ্গা মুসলিমদের ক্যাম্পে লকডাউন জারি করেছে ঢাকা। ভিড়ে ঠাসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংক্রমণ নিয়ে চিন্তায় সরকার। বাংলাদেশের কোভিড আক্রান্তের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা মুসলিম ক্যাম্পে ইতিমধ্যেই ৮৬৩জন সংক্রমিত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ১৩ জন। বুদ্ধিস্ট মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গা মুসলিমরা। কক্সবাজার জেলা শিবিরে ১০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছেন। গত বছর মার্চে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পায় বাংলাদেশ। তার প্রায় ২মাস পরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ক্যাম্পে।