ঢাকা : বাংলাদেশের কক্সবাজারে বাজারে আগুন। পুড়ে মৃত অন্তত তিন রোহিঙ্গা। আজ ঘটনাটি ঘটে কুটুপালং রিফিউজি ক্যাম্পের পাশে একটি অস্থায়ী বাজারে। অন্তত ২০টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। দেহগুলি উদ্ধার হয় একটি দোকান থেকে।  


গত মাসেই বিধ্বংসী আগুনের কবলে পড়েছিল রোহিঙ্গা। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ জনের। আহত হয়েছিলেন ৫৬০ জন। প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ ঘর হারা হন। আজ, শুক্রবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃ্ত্তি। ঘটনা দক্ষিণ বাংলাদেশের এদিন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের কাছে আগুন লাগে। তাতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ২০টি দোকান।


স্থানীয় পুলিশ অফিসার আহমেদ সঞ্জু মোরশেদ বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। দোকান থেকে ৩টি মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গিয়েছে, যে সময় আগুন লাগে তখন সবাই ঘুমোচ্ছিলেন। সায়েদুল মুস্তাফা নামে এক দোকানের মালিক জানিয়েছেন, তাঁর দোকানের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এই আগুনে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ প্রশাসন।


এর আগে গত ২২ মার্চ আগুন লাগে বাংলাদেশের কক্সবাজারে। জানা যায়, কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আগুন লাগে। আর তাতে ভস্মীভূত হয়ে যায় ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। বিধ্বংসী আগুনের জেরে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ঘর বাড়ি। বিধ্বংসী এই আগুনে পুড়ে গিয়েছে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ঘর। মাথার উপর থেকে ছাদ সরে যায় ৪৫ হাজার মানুষের। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরণার্থী শাখা জানায়, আগন লাগার পরই এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করে সবাই। আর তাতে আহত হন ৫৬০ জনের বেশি মানুষ। ঢাকার রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরণার্থী শাখার প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোনও শিবিরে এই ধরনের আগুন লাগার ঘটনা আগে দেখেনি। এটা একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা বলেও ব্যাখ্যা করে তারা।