নয়া দিল্লি: ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির প্রতিবাদ ঘিরে অশান্ত বাংলাদেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে রংপুর-দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ-অবরোধ। বাংলাদেশে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর লাগাতার হামলার প্রতিবাদে গর্জে উঠল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের কড়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যা হচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন ভারত। এদিকে এই প্রেক্ষাপটেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি এসপি বৈদ বুধবার বাংলাদেশে ইসকনের পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের সমালোচনা করে বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য হিন্দু সন্ন্যাসীকে অপরাধী বানানো হল।
ইউনূস সরকার 'বাক স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকারের উপর সরাসরি আক্রমণ' করছে বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এবং অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে 'জোর করে' বন্ধ করা হল একের পর এক ইসকন সেন্টার, 'খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না' ভক্তদের?
সেখানে তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, নিপীড়নের বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। পর পর ঘটনা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকারগুলিকে লঙ্ঘন করছে। ন্তি, সহাবস্থান এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার নীতিগুলিকেও ক্ষুণ্ণ করে যা ভারত ও বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে সমর্থন করে না।'
মঙ্গলবার রাতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়,বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টিতে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, একদিকে যখন মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা, তখন অন্যদিকে একজন ধর্মীয় গুরু যিনি শান্তিপূর্ণ জমায়েতের মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত দাবি তুলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শ্রী দাসের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারী সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনার দিকেও আমরা উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছে ভারত। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে হিন্দু ও সকল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অধিকার রক্ষা করার আর্জি জানাচ্ছি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে