কলকাতা: পদ্মাপাড়ে অশান্তির আগুন যেন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। লাগাতার চলছে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ। একদিকে কট্টরপন্থীরা হামলা চালাচ্ছে, অন্যদিকে বেছে বেছে হিন্দুদেরই পুলিশ ধরছে বলে অভিযোগ। লাগাতার অত্যাচারের জেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হিন্দুরা যখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, লাগাতার মিছিল-মিটিং-বিক্ষোভ-ধর্না -অবস্থান শুরু করেছিল আর তাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এই অবস্থায় হঠাৎই তাঁকে গ্রেফতারের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে অশান্তি।  


ভাঙচুর থেকে অগ্নিসংযোগ, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একের পর এক হাড় হিম করা সেইসব ছবি। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত ইসকনের সেন্টার জোরজবরদস্তি বন্ধ করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন মৌলবাদী সংগঠন। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে এই কাজ চলছে। আইএনএস সংবাদসংস্থার তরফে জানান হয়েছে, বাংলাদেশের শিবচরে ইসকন সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে যায় একদল এসে। 


ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসেডেন্ট এবং মুখপাত্র রাধারমণ দাস বলেন, 'বাংলাদেশের শিবচরের ইসকন নামহাট্টা সেন্টারটি মুসলিমরা এসে জোর করে বন্ধ করে দিয়ে যায়। এরপর সেখানে সেনারা যান। ইসকনের ভক্তদের সেখান থেকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।' একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাধারমণ দাস। 


সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ইসকন মন্দিরের একটি হোর্ডিং খুলে ফেলা হচ্ছে লোহার রড দিয়ে। 






আরও পড়ুন, ইসকন সম্পর্কে হুমকি, 'এমন জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের কাছে হাতের ময়লা’!


এদিকে, সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর এবার ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠল বাংলাদেশে। মৌলবাদী সংগঠন অ্যাখ্যা দিয়ে ইসকনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।               


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে