নয়া দিল্লি: বাংলাদেশে নৈরাজ্যের আবহেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার অনুরোধ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করে বাংলাদেশে অবস্থিত হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও যথাযথ সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। 


এদিন এক্স সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, প্রফেসর মহম্মদ ইউনূসের থেকে আজ একটি ফোন পেলাম। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছি। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের হিন্দু ও সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 


 






আরও পড়ুন, 'হাসপাতাল বন্ধ করে রোগীদের অন্যত্র ভর্তির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি', আরজি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যকে ধমক প্রধান বিচারপতির


প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে তিনি আশা করেন যে হিংসা-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কারণ ১৪০ কোটি ভারতীয়রা হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। 


মঙ্গলবারই ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। আওয়ামি লিগ তথা হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যে বা যারা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।  


ক্ষমতায় এসে মহম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, 'আপনারা যদি আমার উপরে বিশ্বাস রাখেন, আমার উপরে ভরসা রাখেন তাহলে নিশ্চিত করছি যে এই দেশে কোনও জায়গায়, কারও ওপরে হামলা হবে না'। তবে কতটা শান্তি ফেরে পড়শি দেশে, সে দিকেই তাকিয়ে ভারত।                                                         


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে