কলকাতা : ভাঙা হল পুলিশের ব্যারিকেড। ঝরল রক্ত! জ্বলল আগুন! পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করতে হল পুলিশকে।বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে খুন এবং তারপর মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভে মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বেকবাগান।
বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে খুন এবং জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সোমের পর মঙ্গলবারও কলকাতায় মিছিল করেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শঙ্খনাদের মধ্যে দিয়ে, ত্রিশুল হাতে গেরুয়া পতাকা নিয়ে শুরু হয় মিছিল। সেই মিছিল আটকাতে পুলিশের লাঠিতেই ঝরল রক্ত। মঙ্গলবার শিয়ালদা থেকে শুরু হয় মিছিল। বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের দফতর পর্যন্ত মিছিল যাওয়ার কথা ছিল। বেকবাগানে মিছিল আটকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তখনই পুরুষের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হিন্দুত্ববাদী নেতা লালবাবা। তারপর একে একে হিন্দুত্ববাদী নেতাদের আটক করা হয়। অভিযোগ ওঠে, 'এ পুলিশ রাজ্য পুলিশ নয়, এ পুলিশ বাংলাদেশী পুলিশ। এই পুলিশ সন্ন্যাসীদের লাঠির বাড়ি মারে, প্রতিবাদী মহিলাদের কাপড় ছিঁড়ে দেয়।' আহত এক সাধু বলেন, ' দলদাস পুলিশ হিন্দু সাধু-সন্তদের উপর যেভাবে লাঠিচার্জ করল, যে নির্মম বর্বরতা, অসভ্যতার পরিচয় দিল।' কেউ বলেন, 'এই অত্যাচারের প্রতিবাদ হবে। কলকাতায় সনাতনী সন্তদের উপর অত্যাচার হয়েছে। এর প্রতিবাদ হবে।' বিক্ষোভ চলতে থাকলে, কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। তার প্রতিবাদে পুলিশের গাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে আজ রাজধানী দিল্লিতেও প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল হিন্দু মহাসভার। সেই মিছিলও আটকায় দিল্লি পুলিশ। রাজধানীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের বাইরে চরম উত্তেজনা দেখা যায়, এখানকার প্রতিবাদ মিছিলে। । এদিন সেখানে জমায়েত করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে নির্বিচারে হিন্দু নিধনের ব্যাখ্যা দাবি করে। নিরাপত্তাবাহিনী তাঁদের আটকে দেয়। এরমধ্যে কেউ কেউ ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের বাধা দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। সেই সময় VHP-র প্রতিবাদীরা পুলিশে ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, পুলিশ ও আধা-সামরিকবাহিনীর বিভিন্ন স্তরীয় নিরাপত্তাবাহিনী থাকায় তাঁদের আটকে দেওয়া যায়।