নয়াদিল্লি: অশান্ত বাংলাদেশ, সীমান্ত পরিদর্শনে বিএসএফের ডিজি (BSF DG)। ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে সুরক্ষা বাড়াল বিএসএফ। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ৪ হাজার ৯৬ কিমি এলাকায় হাই অ্যালার্ট। দেশত্যাগী হাসিনা, সেনার দখলে বাংলাদেশ, কড়া নজর ভারতের। (Bangladesh News)


ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনে বর্ডার সিকুইরিটি ফোর্সের ডিজি


উত্তাল বাংলাদেশ। পড়শি দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। দেশ ছেড়েছেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৌঁছেছেন ভারতের গাজিয়াবাদে। আপাতত সে দেশের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে। এমন অবস্থায় ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নজরদারি। বর্ডার সিকুইরিটি ফোর্স বা বিএসএফের তরফে আগেই জারি করা হয়েছিল হাই অ্যালার্ট। এবার পরিস্থিতি পরিদর্শনে সীমান্তে পৌঁছলেন ডিজি।                                


কূটনৈতিক সূত্রে খবর, ভারত থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন হাসিনা। বাংলাদেশ সেনার মালবাহী বিমানে ভারতে এসে পৌঁছেছেন হাসিনা, খবর পিটিআই সূত্রে। গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে হাসিনার বিমানের অবতরণ। সূত্রের খবর, 'কিছুদিন ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা। ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক আশ্রয়ের হাসিনার আবেদন খারিজ ব্রিটিশ সরকারের।'


অন্যদিকে বাংলাদেশে সেনা-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু ৩০০ পার করেছে। রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা বিমানবন্দরে সমস্ত উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের সমস্ত ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে রয়েছে ঢাকাগামী ৩টি বিমান। বাংলাদেশগামী সমস্ত বিমান বাতিল করল এয়ার ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের সংসদ ভবনে ঢুকে আন্দোলনকারীরা রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। 


আরও পড়ুন: Mamata on Bangladesh: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা, এপারে 'শান্তি বজায় রাখার' আর্জি


আন্দোলনকারীদের দখলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, আগুন। বাংলাদেশের শাসন সেনার হাতে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শান্তি ফেরানোর আবেদন করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। 'জরুরি অবস্থা, কার্ফুর কোনও প্রয়োজন নেই। সেনাকে আদেশ দিয়েছি, গোলাগুলির কোনও প্রয়োজন নেই। সমস্ত হত্যার বিচার হবে, আস্থা রাখুন', বলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। অশান্ত বাংলাদেশে ভাঙা হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি, বিক্ষোভকারীদের দখলে গেল 'গণভবন'। ঢাকায় আওয়ামি লিগের সদর দফতরে আগুন লাগানো হয়। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।