কলকাতা: হিন্দুদের উপর হামলা, তাদের বাড়ি, দোকানপাট জ্বালিয়ে দেওয়া, মন্দিরে ভাঙচুর, বাংলাদেশে ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর এমনই সব হিন্দু বিদ্বেষের ছবি সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে পড়শি দেশ ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ওপার বাংলার অনেক হিন্দু।                           


ব্যবসার কাজে বাংলাদেশে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন এপার বাংলার মছলন্দপুরের বাসিন্দা সাধনা দে, রিনা দাসরা। রিনাদেবীর কথায়, মুসলিম করবে, বোরখা পরাবে, এটা পরে মুসলিমরা। আস্তে আস্তে জামাতি ইসলাম বানাবে। একথা বলে। মানে কোনও মায়ের কাছ থেকে, বাবার কাছ থেকে কারও সন্তান নিয়ে মেরে ফেলছে। এটা একটা আতঙ্কের ব্যাপার না।' শুধু তাই নয়, সিঁদুরও পরতে দেওয়া হয় না তাঁদের এমনটাও জানিয়েছেন ওপার বাংলার বহু হিন্দু মহিলা। 


বিনা বিচারে দিনের পর দিন জেলে আটকে রয়েছে সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। মারধর করা হয়েছে তাঁর আইনজীবীদের। সাংবাদিক, অধ্যাপক থেকে শুরু করে ইসকন ভক্ত, বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের হাত থেকে রেহাই নেই কারও! সেরকমই ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন, মাদারিপুরের বাসিন্দা লিপিকা বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন যে কণ্ঠি দেখলে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে । কবে শান্ত হবে বাংলাদেশ? আদৌ কি রেহাই পাবে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা?


আরও পড়ুন, 'ফেরত দিন হাসিনাকে, বিচার করবে বাংলাদেশ', ভারতকে হুঁশিয়ারি সারজিস আলমের


এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলা-নির্যাতন চলছেই। কক্সবাজারে সনাতনী জাগরণ জোটের সদস্যের উপর  ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করা হয় ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুজের তরফে । অন্যদিকে, চট্রগ্রামে এক বেকারির মালিকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া বলে অভিযোগ। ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুজের তরফে সোশাল মিডিয়ায় এই ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়, সনাতনী জাগরণ জোটের সদস্য কক্সবাজারের বাসিন্দা জয়দেব নন্দীর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হামলা চালায় কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা।


এপার বাংলাতেও উঠছে প্রতিবাদের গর্জন। রবিবার বনগাঁর নহাটায় মিছিল করেন সনাতনীরা। হাজির ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার ও হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। উত্তর ২৪ পরগনার নীলগঞ্জে প্রতিবাদ মিছিল করেন মতুয়ারা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে